প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের লম্বা মানুষ জিন্নাত আলীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন একটি দোকান করে দেবেন। আর সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয়েছে আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল)।
এদিন সকালে কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া বাজারের রাইসমিল সড়কে মেসার্স জিন্নাত আলী স্টোর নামের দোকানঘরটি উদ্বোধন করেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। এসময় জমির ডিসিআর ও নিত্যপণ্য সামগ্রীসহ দোকানঘরটি জিন্নাতকে হস্তান্তর করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য একখণ্ড জমি ও একটি নিত্যপণ্যের দোকানঘর পেয়ে জিন্নাতের আত্মকর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানান তার বাবা আমীর হামজা। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
জিন্নাত আলী বলেন, স্থানীয় সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলসহ আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আমার শারীরিক অসুস্থতার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। স্বাভাবিক অবস্থায় আমি বসতঘরে বসবাস করতে পারি না। আমার চাহিদা অনুযায়ী খাবারের অভাবের কথাও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। তখন প্রধানমন্ত্রী আমার কথা আন্তরিকভাবে শুনেছিলেন। আমার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, আজ আমাকে দোকানঘরটি দেওয়ায় আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ। এসময় জিন্নাত আলী স্থানীয় সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।
জানা যায়, দরিদ্র কৃষক আমীর হামজার এক মেয়ে ও তিন ছেলের মধ্যে জিন্নাত আলী তৃতীয়। ১২ বছর বয়স থেকেই উচ্চতা অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে জিন্নাতের। ১০ বছরের মধ্যে প্রায় চার ফুট উচ্চতা বেড়েছে জিন্নাত আলীর। বর্তমানে জিন্নাত আলীর উচ্চতা ৮ ফুট ২ ইঞ্চি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, জিন্নাত আলী এতদঞ্চলের সম্পদ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে করে জিন্নাতের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হলো। আগামীতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জিন্নাতকে বসতবাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লুৎফুর রহমান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) চাই থোয়াই হ্লা চৌধুরী, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মো. ইসমাইল নোমান, গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও গর্জনিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসার মো. সাহেদ।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জিন্নাত আলীর নামে ০.০০৩৮ একর জমি দিয়ে এ দোকানঘরটি নির্মাণ করে দেওয়া হয়।