রাঙামাটি জুরাছড়ির লুলাংছড়ি ও কুসুমছড়ি মৌজার হেডম্যান-কার্ব্বারীদের উদ্যোগে খাগড়াছড়ি ছড়ায় (নদী) ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে তিনদিনের বৈসাবি উৎসব শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এ বৈসাবি উৎসবে অসংখ্য শিশু ও তরুণ-তরুণী অংশগ্রহণ করে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) উৎসবের দ্বিতীয় দিন মূল বিজু ও রোববার ১৪ এপ্রিল তৃতীয় দিন গোইজ্জ্যা-পোজ্জো দিন নামে পালন করবে এখানকার আদিবাসী জনগোষ্ঠীরা।
চৈত্রসংক্রান্তির আগের দিনকে বলা হয় ফুল বিজু। উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাসহ সব আদিবাসী জনগোষ্ঠীর শিশু-তরুণ-তরুণীরা ফুল সংগ্রহ করে ঘর সাজাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। আর চৈত্রসংক্রান্তির দিনকে বলা হয় মূল বিজু। এদিনে ঘরে ঘরে রান্না হবে ঐতিহ্যবাহী খাবার ‘পাজন’। তা দিয়ে দিনভর চলে অতিথি আপ্যায়ন। চাকমা জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত আছে, বিজু উৎসবের দিন কারও বাড়িতে গেলে অবশ্যই পাজন খেতে হয়। কেবল একটি বাড়িতে নয়, খেতে হবে অন্তত ১০টি বাড়িতে।
পাজন অর্থাৎ পাঁচন কেবল সুস্বাদু সবজির ঘন্ট নয়, এটি চাকমা-মারমা-ত্রিপুরাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উৎসব পালনের অন্যতম উপকরণ। ঈদে যেমন সেমাই, তেমনি বিজু বা নববষের পার্বনে পাজন অতিথি আপ্যায়নে অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ।
এছাড়া এর সঙ্গে থাকবে আদিবাসীদের তৈরি নানা পিঠা ও পায়েস। তবে কালের সামাজিক বিবর্তনে বিলুপ্তপ্রায় চোরাই মদ। এ চোরাই মদ বহু আগে অতিথি আপ্যায়নের একটি অংশ ছিল।
অন্যদিকে জুরাছড়ি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে দিনব্যাপী বর্ষবরণের আয়োজন।