মুখ ভর্তি দাড়ি। সাত দিনে একবার গোসল করেন স্বামী। ভলো করে দাড়িও কামান না। দুর্গন্ধে বাড়িতে টেকা যায় না। এমন অভিযোগে স্বামীকে ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী।
স্ত্রীর এমন অভিযোগ শুনে চোখ কপালে উঠেছিল বিচারকের। স্ত্রীর পরিষ্কার কথা, এই স্বামীর সঙ্গে সংসার করা মোটেও সম্ভব নয়। তাই ডিভোর্স চাই!
ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভূপালের। ২০১৮ সালে বিয়ে হয়েছিল তাদের। স্বামীর বয়স ২৫ আর স্ত্রীর বয়স ২২ বছর।
বেশ ভালোই চলছিল সংসার। কিন্তু তারপরই শুরু হয় ঝামেলা। স্ত্রীর কথায়, বিয়ের পরপর স্বামী বেশ ঝকঝকেই থাকতেন। সমস্যা শুরু হয় মাস ছয়েক আগে। গোসল করতে যেতে নাকি বেশ অনীহা ছিল তার। আর দাড়ি কামাতে গেলেই নাকি তার গায়ে জ্বর আসত।
শেষ পর্যন্ত সমাধান না হওয়ায় ফ্যামিলি কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা ঠুকে দেন স্ত্রী। বিচারক আরএন চাঁদ ছয় মাসের জন্য দুইজনকে আলাদা থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এরমধ্যে কাউন্সেলিং চলবে দুইজনেরই।
কোর্ট কাউন্সিলর সাহিল অবস্তী জানিয়েছেন, স্বামী নিমরাজি হলেও স্ত্রী মোটেই আর থাকতে চাইছেন না একসঙ্গে। ওই তরুণ সিন্ধি সম্প্রদায়ের, কিন্তু তরুণী ব্রাহ্মণ। এই বিয়ে নিয়ে দুই পরিবারের কোনো আপত্তি ছিল না। এখনও নাকি তারা চাইছেন সব মিটে যাক। কিন্তু স্ত্রী তার সিদ্ধান্তে এখনো অনড়।