চৈত্রের শেষ রাতে ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি পেলেও নগরবাসীর উপর গরমের হল্কা ছড়াবে দিন গড়াতেই। ফলে নববর্ষের দিনের শুরুতেই আবহাওয়াটা উৎসব প্রিয় নগরবাসীর স্বস্তির। এদিন ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও নেই কোনো বৃষ্টির আশঙ্কা। তবে সন্ধ্যার দিকে কালবৈশাখীর প্রভাবে হতে পারে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি। এমনটাই জানাচ্ছে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গ্রীষ্মের তীব্র দহনে চৈত্রের শেষে এমনিতেই হাঁসফাঁস অবস্থা। আবহাওয়া সংক্রান্ত খবরাখবর পরিবেশনকারী এক বেসরকারি সংস্থা ‘স্কাইমেট’ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে প্রতিবেশী ভারতে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। এ দিন সেখানকার পারদ ছুঁয়েছে ৪৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আসাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়সহ পশ্চিমবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বাংলাদেশেও থাকবে তেমন পরিস্থিতি।
চট্টগ্রামের আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও বলছে, দুপুরের দিকে আকাশ উজ্জ্বল হবে, রোদের তীব্রতাও বাড়বে সঙ্গে থাকবে ভ্যাপসা গরম। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। নগরে সূর্যোদয় ভোর ৫টা ৩৪ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ৩১ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, সকালের দিকে আকাশ মেঘলা থাকবে। তবে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দিনের তাপমাত্রাও বাড়বে, গরম ও রোদ থাকবে। তবে সন্ধ্যার দিকে কালবৈশাখীর প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন, নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে সারা শহরজুড়ে এ দিনটি উদযাপন করে নগরবাসী।