পবিত্র হজ পালন করতে বর্তমানে সৌদি আরবে রয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। দূর দেশে থাকলেও মনটা তাঁর পড়ে আছে চট্টগ্রামেই।
নগরের কোনো সমস্যা, কোনো বিশিষ্ট নাগরিকের সমস্যা, কোনোকিছুই নগরপিতার চোখ এড়িয়ে যায় না। তাইতো যখন শুনেন মুক্তিযোদ্ধা রমা চৌধুরী অসুস্থ তখন তাঁর মনটা আকুল হয়ে উঠে। সুদূর প্রবাস থেকেই তিনি নির্দেশ দিলেন রমা চৌধুরীর খবর নিতে, কঠিন সময়ে এই বীরাঙ্গনার পাশে দাঁড়াতে।
মেয়রের নির্দেশ পাওয়ার পরপরই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান ভারপ্রাপ্ত মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। অসুস্থ রমা চৌধুরীর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি পৌঁছে দিলেন মেয়রের বার্তা- অসুস্থ বীরাঙ্গনার সুচিকিৎসায় সব ধরনের সহায়তা করবেন নগরপিতা।
সোমবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে চমেক হাসপাতালে যান ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। এ সময় তিনি রমা চৌধুরীর বিষয়ে চমেক হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের কাছে জাতি চির ঋণী। এই মুক্তিযোদ্ধা জননী দেশের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা সমাজে বিরল। নীতি-আদর্শকে ধারণ করে চরম দারিদ্র্যতার মধ্যেও তিনি কারো কাছে করুণা ভিক্ষা করেননি। লেখালেখি ও শিক্ষকতা করে মাথা উঁচু করে মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার জন্য সংগ্রাম করেছেন। এ ধরনের মহিয়সী নারীর জন্য কিছু করতে পারা সৌভাগ্যের বিষয়।
গতবছরের ২৩ ডিসেম্বর পড়ে গিয়ে কোমরে ফ্রাকচার হয়েছিল রমা চৌধুরীর। সেদিনই তাঁকে নগরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৭ জানুয়ারি তাঁকে ভর্তি করা হয় চমেক হাসপাতালে। চমেক হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে তাঁকে ২৬ গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালী নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামে নিয়ে যাওয়ার পর রক্তবমি হলে ফের তাঁকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে তিনি সেখানেই আছেন।
এদিকে বীরাঙ্গনা রমা চৌধুরীকে নিয়ে গত ১৯ আগস্ট বিশেষ সম্পাদকীয় লিখেন জয়নিউজবিডিডটকম সম্পাদক অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন। যার শিরোনাম ছিল ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, রমা চৌধুরীর এখন আপনাকে প্রয়োজন’।