প্যারিসের নটরডেম ক্যাথেড্রালে যখন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ঠিক সেই সময়ই জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ ভবনেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) আল-আকসা মসজিদের আগুনের একটি ভিডিওর বরাত দিয়ে মার্কিন সাময়িকী নিউজউইক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি সরকারি সংবাদ সংস্থা দ্য প্যালেস্টাইন নিউজ অ্যাজেন্সি বলছে, আল-আকসার ছাদের মারওয়ানির নামাজ ঘরের একটি নিরাপত্তা কক্ষে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। পরে ইসলামিক ওয়াকফ ফায়ার ব্রিগেডের সদস্যরা মসজিদের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা মসজিদের অগ্নিকাণ্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মারওয়ানির নামাজ ঘরের ওপরে ধোঁয়া উড়ছে। মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্রতম এই স্থাপনা ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে আরব-ইসরায়েল সংঘাত চলে আসছে।
আল-আকসায় আগুনের কারণ এখনো জানা যায়নি। জেরুজালেম ওয়াকফ ও আল-আকসা মসজিদ কল্যাণ বিভাগের মহাপরিচালক শেইখ আল-খতিব বলেছেন, শিশুরা সেখানে আগুন দিয়ে থাকতে পারে। কারণ ওই সময় ঘটনাস্থলে শিশুদের খেলাধুলা করতে দেখা গেছে।
তবে পবিত্র এই স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি পবিত্র এই স্থাপনার মহান ধর্মীয় এবং মানবিক মূল্যবোধ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
একই দিনে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের নটর ডেম ক্যাথেড্রালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ৮৫০ বছরের প্রাচীন এই গির্জাটি কয়েক ঘণ্টার আগুনে প্রায় পুরোটাই ধসে গেছে। প্রাচীন গোথিক ভবনটিকে রক্ষার জন্য ৫ শতাধিক দমকল কর্মী চেষ্টা চালালেও এর উঁচু মিনার এবং ছাদ ধসে পড়ে।
পাঁচ শতাধিক অগ্নিনির্বাপণ কর্মী টানা চেষ্টা চালিয়ে মঙ্গলবার সকালের দিকে এ গির্জার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পূর্ব জেরজালেমের ওল্ড সিটিতে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ। ১৯৬৭ সালে এক যুদ্ধের পর জর্ডানের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় ইসরায়েল। ১৯৮০ সালে অভিযান চালিয়ে পুরো জেরুজালেমের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইসরায়েল, তবে ইসলামি পবিত্র এই স্থাপনার দেখাশোনার অধিকার পায় জর্ডানের রাজপরিবার।