গ্রীস্মের শুরুতেই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে নগরবাসী। বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি রয়েছে জনজীবনে। বাড়ছে জনদুর্ভোগ। অসহনীয় তাপমাত্রায় বৃদ্ধ, শিশু ও প্রাণীকুলেরে কষ্ট চরমে পৌঁছেছে। মেডিকেলগুলোতে বাড়ছে রোগীর ভীড়।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, তাপমাত্রা আরো বাড়বে। অন্তত আগামী তিনদিন নগরে নেই কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। কয়েকদিন এমন গরম অব্যাহত থাকবে।
তবে বৈশাখের প্রথমার্ধে এপ্রিল মাসের শেষদিকে দুই থেকে তিনটি নিন্মচাপের সঙ্গে থাকবে বজ্রঝড়। সেই সঙ্গে কালবৈশাখীর প্রভবে সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা রয়েছে বলে জয়নিউজকে জানিয়েছেন পতেঙ্গা আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাজহরুল ইসলাম।
তাপমাত্রা যখন ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে তখন মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। সেই হিসেবে চট্টগ্রামে আগামী এক সপ্তাহে মৃদু তাপপ্রবাহও থাকতে পারে বলে জানিয়েছে এ কর্মকর্তা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গরমের কারণে চট্টগ্রামের মেডিকেলগুলোতে জ্বর, সর্দি, হিটস্ট্রোকসহ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। নগরের পার্কগুলোতে যেখানে ছায়া পচ্ছে সেখানেই জিড়িয়ে নিচ্ছে শ্রমজীবি মানুষরা। এছাড়াও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখো গেছে পশু-পাখিদের কষ্ট।
এদিকে ঢাকার আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, শুক্রবারের (১৯ এপ্রিল) পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যেতে পারে তাপপ্রবাহে। মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৩৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনার অনেক এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। তবে রাজশাহী, রংপুর ও সিলেটে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এপ্রিলের দীর্ঘমেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে সাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ।