বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ইবাদত-বন্দেগি ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত।
এ উপলক্ষে রোববার (২১ এপ্রিল) বিকাল থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আশা ও আকাঙক্ষা পূরণের আশায় ছুটেছেন মসজিদ ও মাজারে। ভাগ্যরজনী শবে বরাত উপলক্ষে নগরের বিভিন্ন মসজিদ ও মাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
নগরের জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ, গরিবুল্লাহ শাহ (র.) মাজার ও মসজিদ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, কদম মোবারক মসজিদ, শাহ আমানত (র.) মাজার, গরিবুল্লাহ শাহ (র.), মিসকিন শাহ (র.), বায়েজিদ বোস্তামি (র.), বদনা শাহ (র.) মাজারে দেখা গেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ভিড়।
জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে দলে দলে মুসল্লিরা জমায়েত হচ্ছেন। নামাজ আদায়ের পাশাপাশি তারা মাজারে বিশেষ মোনাজাত করছেন।
আমিরবাগ আবাসিক এলাকা থেকে আসা মো. শামসুল হক জয়নিউজকে বলেন, মুসলমানদের বড় কাঙিক্ষত রাত এটি। বরকতে পরিপূর্ণ এ রাতে বান্দা যা চায়, আল্লাহ তা-ই দেন। কাউকে খালি হাতে ফিরতে দেন না।
মো. আব্দুল জলিল নামে সত্তরোর্ধ্ব এক মুসল্লি জানান, ছোটকাল থেকেই নামাজ কালাম পড়ি। বালা-মসিবত থেকে রেহাই পেতে আমানত শাহ (র.) এর মাজারের মসজিদে এসে নামাজ পড়ি। আল্লাহর এই অলির অছিলায় সব বালা-মসিবত দূর হয়ে যায়।
আরবি শাবান মাসের ১৪ তারিখের এই রাত পৃথিবীতে ফজিলতের রাত হিসেবে বিবেচিত। এ উপলক্ষে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মসজিদের সামনে আতর, তসবিসহ নানা জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানদাররা।
আমানত শাহ রোডের দোকানি আবুল কালাম জয়নিউজকে বলেন, শবে বরাত উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মের লোক এ মাজারে মোমবাতি, আগরবাতি এবং গোলাপজল কিনতে আসেন। তাই আমরা মূল দোকান বাদে আরো ৩টি দোকান দিয়েছি।
বেচাকেনার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি অন্যদিনের তুলনায় চারগুণ বেশি হয়েছে বলে জানান।
মহান এই রজনীতে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য পেতে শুধু মুসলমানই নয়, অন্যান্য ধর্মের নারী- পুরুষও আসেন এই অলির তৈরি করা মসজিদে।