‘জঙ্গি আস্তানায় ক’জন নিহত হয়েছে এ মুহূর্তে তা বলতে পারছি না। বাড়িটি লণ্ডভণ্ড অবস্থায় আছে। এখনো পুরো বাড়ি পরিষ্কার করা হয়নি। বাড়িটি পরিষ্কার করতে সময় লাগবে। এরপর নির্দিষ্ট করে নিহতের সংখ্যা বলা যাবে। তবে ঘরের মধ্যে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তিনটি পা দেখা গেছে। ধারণা করছি, সেখানে অন্তত দু’জন নিহত হয়েছে।’
সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর বসিলার মেট্রো হাউজিংয়ে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানা পরিদর্শন শেষে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সদস্যরা কেয়ারটেকারকে বাড়ি থেকে বের করে এনে কথা বলেন। তখন আমাদের সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। আমরাও পাল্টা গুলি চালাই। র্যাব প্রায় ১৫০ রাউন্ড গুলি করে। তারাও গুলি করেছে। তারা কিছু ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) নিক্ষেপ করেছে আমাদের দিকে। শেষের দিকে তারা বাড়িটি উড়িয়ে দেয়।
র্যাব জানায়. গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বসিলার মেট্রো হাউজিংয়ের ওই বাড়িটিতে উগ্রপন্থিরা অবস্থান করছে বলে জানতে পারে র্যাব। তখন সেখানে অভিযানে যায় র্যাব। অভিযানের শুরুতেই ওই বাসার একটি কক্ষ থেকে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরপর ভেতর থেকে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। সকাল পৌনে ৫টার দিকে ওই বাসায় বেশ বড় ধরনের একটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাসাটিতে দু’টি কক্ষ রয়েছে। এক কক্ষে থাকত বাসার কেয়ারটেকার সোহাগ ও তার স্ত্রী। অন্যটিতে দু’জন পুরুষ। তাদের বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ বছর। তাদের নাম সুমন ও সুজন বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিস্ফোরণে তারাই নিহত হয়েছে।
এছাড়া সকালে অভিযান চলাকালে মসজিদের ইমাম ইউছুফ, বাসার মালিক আব্দুল ওয়াহাব, কেয়ারটেকার সোহাগ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
রোববার (২৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৩টার দিকে উগ্রপন্থিদের আস্তানা সন্দেহে বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়। পরে আশেপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়।
জয়নিউজ/আরসি