ষষ্ঠ শতকের প্রখ্যাত চিনা দার্শনিক লাউজি বা লাউৎ-জু। জগৎপ্রসিদ্ধ অসংখ্য সদুক্তির মধ্যে থেকে কয়েকটি নিবেদন করা হলো। পড়ুন কবি ও সাংবাদিক জ্যোতির্ময় নন্দীর অনুবাদ
১. কারো কাছ থেকে পাওয়া গভীর ভালোবাসা তোমাকে দেয় শক্তি, কাউকে গভীরভাবে ভালোবাসা তোমাকে দেয় সাহস।
২. কঠিন জিনিসগুলো করো সহজ থাকতে থাকতে আর বড় জিনিসগুলো করো ছোট থাকতে থাকতে। হাজার মাইলের যাত্রা অবশ্যই শুরু হয় একটিমাত্র পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে।
৩. দিক না পাল্টে হেঁটে যাও, হয়তো তুমি পৌঁছে যাবে তোমার অভীষ্ট গন্তব্যেই।
৪. যে-মন স্থির, সারা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তার কাছে নত হয়।
৫. যখন তুমি যা শুধু তাতেই সন্তুষ্ট আর কারো সাথে তুলনা করো না বা পাল্লা লড়ো না, তখন সবাই তোমাকে সম্মান করবে।
৬. কথায় দয়া আত্মবিশ্বাস আনে, চিন্তায় দয়া আনে গভীরতা, দানে দয়া আনে প্রেম।
৭. যারা ভালো তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করো, এবং যারা ভালো নয় তাদের সঙ্গেও ভালো আচরণ করো। এভাবেই ভালোত্ব অর্জিত হয়। যারা সৎ তাদের সঙ্গে সদাচরণ করো, যারা সৎ নয় তাদের সঙ্গেও সদাচরণ করো। এভাবেই অর্জিত হয় সততা।
৮. আমার শেখানোর আছে শুধু তিনটে জিনিস — সরলতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা। এ তিনটেই তোমার শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
৯. ভালো যাত্রীর সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা নেই, আর নেই কোথাও পৌঁছার তাড়াও।
১০. মৌনতা এক মহান শক্তির উৎস।
১১. বাস করো মাটির কাছাকাছি। চিন্তা করো সহজ-সরল। দ্বন্দ্বে থাকো উদার ও ন্যায়পরায়ণ। শাসনে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কোরো না। কাজ করো যেটা তুমি উপভোগ করো। পারিবারিক জীবনে হও সম্পূর্ণ হাজির।
১২. আত্মার সঙ্গীত ব্রহ্মাণ্ড শোনে।
১৩. অন্যকে জানার নাম জ্ঞান, নিজেকে জানার নাম আলোকপ্রাপ্তি।
জ্যোতির্ময় নন্দী
চট্টগ্রামের কবি ও অনুবাদক, বর্তমানে ঢাকায় সাংবাদিকতায় যুক্ত আছেন।