বাজারের প্রতিটি দোকানেই ঝুলছিল মূল্যতালিকা। বিক্রেতারাও নিচ্ছিলেন ঠিকঠাক দাম।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট পরিদর্শনে এলেন। সব ঘুরে দেখলেন। জরিমানা হলো, তবে পুরো বাজার মিলে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা!
একটু বেশিই ভালো না?
প্রতিবেদকের বক্তব্য নয়, আজ (বৃহস্পতিবার) নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারে আসা ক্রেতারা বলছিলেন এমনটাই। ক্রেতাদের বক্তব্য, এদিন বাজারে সবকিছু একদম নিয়ম মেনেই হচ্ছিল, অন্যান্য দিন যে দৃশ্যের দেখা মেলে খুব কম।
ক্রেতাদের কেউ কেউ প্রশ্ন তুললেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকে ঘিরেই কি এই হঠাৎ সবকিছু ‘ঠিকঠাক’ হয়ে যাওয়া?
বাজারে গরুর মাংস কিনতে আসা ক্রেতা তানজির আহসান জয়নিউজকে বলেন, যে মাংস আগে ৫৫০ টাকায় কেনা যেত সেই মাংস রোজা শুরু হওয়ার পর থেকে ৬৮০ থেকে ৭২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আজ ম্যাজিস্ট্রেট আসার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে গরুর মাংসের দাম হঠাৎ করেই কমে যায়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার রিয়াজউদ্দিন বাজারের অবস্থা অনেক ভালো। কয়েকটি দোকান ছাড়া প্রায় সব দোকানেই মূল্যতালিকা আছে।
তিনি আরো জানান, মূল্যতালিকা না থাকায় একটি মুরগির দোকানকে দুই হাজার টাকা ও তিনটি খেজুরের দোকানকে এক হাজার টাকা করে মোট তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।