ওয়েল ফুডের সুন্দর পরিপাটি, ভিন্ন ভিন্ন বাহারি রঙের মোড়ক আর সুস্বাদু খাবারের নামে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ওয়েল ফুডের এসব বাহারি রঙের মোড়েকের আড়ালে রয়েছে বিষাক্ত ক্যামিকেলসহ ক্ষতিকারক দ্রব্য দিয়ে তৈরি খাবার। সম্প্রতি ক্ষতিকর খাদ্য হিসেবে চিহ্নিত করে খোদ হাইকোর্ট একটি রিট জারি করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়েলফুডের লাচ্ছা সেমাইকে।
পরীক্ষায় নিম্নমানের বলে প্রমাণিত ৫২টি খাদ্য পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এসব খাদ্য পণ্য বিক্রি ও সরবরাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছিল।
বাজার থেকে এসব পণ্য সরিয়ে ধ্বংস করা এবং মানের পরীক্ষায় কৃতকার্য না হওয়া পর্যন্ত তার উৎপাদন বন্ধ করতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু ধ্বংসতো দূরের কথা দিব্যি লাচ্ছা সেমাই বিক্রি করে যাচ্ছে ওয়েল ফুড।
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করেই বিক্রি করছে ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই এমনই চিত্র উঠে এসেছে জয়নিউজের অনুসন্ধানে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, নগরের জিইসি মোড়ের ওয়েল ফুড শাখায় সাজানো ওয়েল ফুডেরই লাচ্ছা সেমাই। তাৎক্ষণিক জয়নিউজের প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে লাচ্ছা সেমাই দ্রুত সরিয়ে ফেলে কর্তৃপক্ষ।
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পরও কেন লাচ্ছা সেমাই রাখা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে একাউন্টসে থাকা জসিম নামে এক কর্মকর্তা বলেন, এসব আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার আপনাদের মাথা ঘামাতে হবে না।
এ সময় প্রতিষ্ঠানটির উচ্চপদস্থ কারো সঙ্গে কথা বলতে চাইলে জসিম বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে ওয়েল ফুডের চেয়ারম্যান সৈয়দ নুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জয়নিউজকে বলেন, কোনো শোরুমে যদি এমন পোডাক্ট দেখে থাকেন তাহলে ভুলক্রমে রয়ে গেছে হয়তো। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে আমরা এসব পণ্য বিক্রয় বন্ধ রেখেছি।