নানা আয়োজনে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজ অর্থোডন্টিকস বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব অর্থোডন্টিকস দিবস উদযাপন হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) এ দিবসটি উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে র্যালি ও সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সিআইডিসির পরিচালক ডা. শাহিকুল জব্বারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সিআইডিসির অধ্যক্ষ ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ, বিশেষ অতিথি ছিলেন ডা. শ ম রফিকুল ইসলাম, ডা. আলী হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থোডন্টিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ অর্থোডন্টিকস সোসাইটির কারযকারী সদস্য ডা. কামরুল হাসান।
এতে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. খান মাশরেকুল আলম, অধ্যাপক ডা. শাহআলম সরকার, ডা. জসীম উদ্দীন, ডা. সরওয়ার কামাল ও ডা. আব্দুর রাজ্জাক সহ চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজ, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দুই শতাধিক চিকিৎসক।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. কামরুল হাসান জানান, উঁচু-নিচু দাঁতকে সোজা করার বিষয়ে ডেন্টিস্ট্রির যে বিভাগে কাজ করা হয় তাকে অর্থোডন্টিক্স বলে। জন্মগত, অভ্যাসগত, আঘাতপ্রাপ্তিসহ বিভিন্ন কারণে দাঁত আঁকাবাকা হতে পারে।
আঁকাবাকা দাঁত শুধু একজন মানুষের মুখের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে তা নয়, তার মুখের বিভিন্ন কার্যক্ষমতা ও কমিয়ে দিতে পারে। খাদ্য চর্বনে অসংগতি, মুখগহ্বরের অপরিচ্ছন্নতা, মুখের জয়েন্ট এর সমস্যা ইত্যাদি যা একজন ব্যাক্তির স্বাস্থ্যের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও চোয়াল ও দাঁতের অসামঞ্জস্যতার জন্য একজন ব্যক্তি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হীনমন্যতায় ভুগতে পারেন।
যারা আঁকাবাঁকা দাঁত নিয়ে কাজ করেন তারাই অর্থোডন্টিস্ট। বিডিএস ডিগ্রী সম্পন্ন করার পর এই বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি (এফসিপিএস/এমএস) নিয়ে অর্থোডন্টিক্স বিশেষজ্ঞ হয়ে থাকেন। অনভিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
বাংলাদেশে কেবলমাত্র বাংলাদেশ কলেজ অব ফিসিসিয়ান অ্যান্ড সার্জন (বিসিপিএস), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক পিজি হাসপাতাল) এবং ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে এই বিষয়ে ডিগ্রি নেওয়া যায়।