তারা সবাই ইয়াবা ব্যবসায়ী। থানায় মামলাও আছে সবার নামে। তবে পুলিশি অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার না করে আত্মসমর্পণের সুযোগ দেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নেজাম উদ্দিন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে শুক্রবার (১৭ মে) জুমার নামাজের পর আত্মসমর্পণ করে সাত ইয়াবা ব্যবসায়ী।
শুক্রবার (১০ মে) বাকলিয়া থানায় ৩৮টি মসজিদে মাদক ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের জন্য মসজিদের খতিবরা বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীনের তিনটি শর্ত মুসল্লিদের মাঝে প্রচার করেছিলেন।
ওসির এ ঘোষণার প্রেক্ষিতে শুক্রবার বজ্রঘোনা এলাকার মদিনা মসজিদে প্রথমে ৪ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী স্বইচ্ছায় প্রায় ২ হাজার মুসল্লির উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করে । পরে ওসি নেজাম উপস্থিত মুসল্লিদের মধ্যে আর কেউ মাদক ব্যবসায়ী থাকলে আত্মসমর্পণের জন্য আহ্বান করলে মুসল্লিদের মধ্য থেকে আরো তিন ইয়াবা ব্যবসায়ীসহ মোট সাতজন মাদক ব্যবসায়ী জুমার নামাজের খুতবার আগে আত্মসমর্পণ করে। তাদের সবার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা বিচারাধীন আছে।
আত্মসমর্পণকারী মাদক ব্যবসায়ীরা হল- মো. আবু বক্কর (৪৫), মো. আব্দুল মাবুদ (৩৮), মো. শাহজাহান (৪৫), মো. শামসু (৪০), এসকান্দর মির্জা (৫৬), ওছিউর রহমান (৪৫) ও মো. ইছাহাক(৫০)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, সমাজ থেকে মাদক দূর করতে চাইলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের তিনটি শর্ত দিয়েছিলাম যাতে তারা আত্মসমর্পণ করে । এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে শুক্রবার ৭ মাদক ব্যবসায়ী মসজিদে আত্মসমর্পণ করেছে।
তিনি বলেন, পরে তাদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয় । এসময় আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে ১৮ নং ওয়ার্ডের এলাকাবাসীদের মাদক সেবন এবং ব্যবসা থেকে সরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে ।