অভিনব কৌশলে শহরের বিভিন্ন মার্কেট থেকে সক্রিয় কাপড় চোর চক্রের এক নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাকলিয়ার তুলাতলী বালুর মাঠের সিরাজ বিল্ডিংয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার নারীর নাম মোছাম্মৎ শানু বেগম (৪০)। সে পটিয়ার সেনপাড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির মো. শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
এসময় তার কাছ থেকে ১০টি জিন্সের প্যান্ট, ৮ টি বিভিন্ন রংয়ের শার্ট, ৫টি বিভিন্ন প্রিন্টের শাড়ি, ১১টি বিভিন্ন প্রিন্টের থ্রি পিস, ২টি শীতের ফুল হাতা গেঞ্জি, ৪টি বিভিন্ন রংয়ের টি শার্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন জয়নিউজকে জানান, গ্রেপ্তারকৃত শানু জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সে তার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের রিয়াজ উদ্দিন বাজার, টেরিবাজার, নিউ মার্কেট, তামাকুমন্ডী লেইন এবং সানমারসহ যে সব মার্কেটেগুলোতে দোকানের মধ্যে বেশি ভিড় থাকে সে দোকানগুলোকে টার্গেট করে।
পরে অবস্থা বুঝে কমপক্ষে তিনজন দোকানে প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে একজন মহিলা বোরকা পরিহিত ও মাথায় বড় লম্বা ওড়না পেঁচানো থাকে। সঙ্গে থাকা দুই পুরুষ সদস্য জিনিস পছন্দ করতে থাকে। ৩-৪টি কাপড় একসঙ্গে পছন্দ করার পর জিনিসগুলো সামনে রাখে। হঠাৎ পুরুষ সদস্যটি বিক্রেতাকে বলে ঐ জিনিসটি দেখান। বিক্রেতার মনোযোগ তখন চলে যায় অন্যদিকে।
এই সুযোগে বোরকা পড়া মহিলা সামনে রাখা জিনিসগুলো থেকে একটি বা দুটি নিয়ে নিজেদের পরিধেয় বোরকার মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলে। কাজ শেষ হওয়ার পর সবাই একযোগে বলে, এই দোকানে পছন্দ হচ্ছে না চল অন্য দোকানে যাই। ফলে বিক্রেতাও ভিড়ের চাপে কিংবা অনেক জিনিসের মধ্যে কাপড় খোয়া গেলেও বুঝতে পারে না।
জানতে চাইলে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের নতুন কাপড়-চোপড় উদ্ধার করা হয়েছে। সে ও তার দলের আরও ৭-৮ জন সদস্য একযোগে চক্রাকারে শহরের বিভিন্ন মার্কেটে কাজ করে জানায়।
তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান ওসি।