চলমান মধ্যপ্রাচ্যের তীব্র উত্তেজনার মাঝে যুদ্ধ এড়াতে চায় সৌদি আরব। তবে তারা সর্বশক্তি দিয়ে যেকোনো ধরনের জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরে সৌদি আরবের দুটি তেল ট্যাঙ্কার আক্রান্ত হওয়ার পর রোববার (১৯ মে) রিয়াদ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। যুদ্ধ এড়ানোর স্বীকারোক্তি দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বল এখন ইরানের কোর্টে।
তেল ট্যাঙ্কার আক্রান্ত হওয়ার পর গত মঙ্গলবার সৌদি আরবের আরো দুটি তেল স্থাপনায় সশস্ত্র ডোন হামলা হয়। ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি হামলার দায় স্বীকার করলেও রিয়াদ এই হামলার জন্য তেহরানকে দায়ী করেছে। এ ঘটনার দু’দিন আহে আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরে সৌদি আরবের দু’টি-সহ চারটি তেল ট্যাঙ্কারে অন্তর্ঘাতমূলক হামলা হয়।
তেহরানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তীব্র উত্তেজনার মাঝে এই হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনী, যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে এই অঞ্চলে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের বলেছেন, সৌদি আরব এই অঞ্চলে যুদ্ধ চায় না। এই যুদ্ধ এড়ানোর জন্য যা করা দরকার সৌদি আরব তাই করবে। একই সময়ে সৌদি আরব আশ্বস্ত করছে যে, প্রতিপক্ষ যদি যুদ্ধকে বেছে নেয়, তাহলে সর্বশক্তি দিয়ে এর জবাব দিতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এছাড়া দেশ এবং দেশের স্বার্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে তারা।