রাস্তা পার হবেন, ভালো কথা। তাই বলে ব্যস্ত সড়কে চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়ে? মুরাদপুরে নির্মিত হয়েছে ফুটওভারব্রিজ। তারপরও যারা রাস্তার মাঝখান দিয়ে পারাপার হচ্ছিলেন তাদের ‘আক্কেল’ বা কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুহাম্মদ জুলফিকার হোসেন
লক্ষ্য তাদের অটুট, যেকোনো মূল্যে যত কম সময়ে পারা যায় রাস্তা পার হতে হবে। ফুটওভারব্রিজে উঠবার খানিক সময়টুকুও তাদের নেই! জীবনঝুঁকি? তারা থোড়াই ‘কেয়ার’ করেন!
সুতরাং ‘বীরপুরুষেরা’ বীরদর্পে রাজপথে নেমে পড়লেন। একের পর এক গাড়ি ছুটে আসছে। আর আমাদের দারুণ ‘সাহসী’ পথচারীরা ঠিক ফাঁক-ফোকর বের করে রাস্তা পার হয়ে যাচ্ছেন!
অনেকদিনের জনদাবি মিটিয়ে মুরাদপুরে নির্মিত হয়েছে ফুটওভারব্রিজ। সচেতন পথচারীরা ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করেই রাস্তা পার হচ্ছেন। কিন্তু এরমধ্যেই মঙ্গলবার কিছু পথচারীকে দেখা গেল রাস্তার মাঝখান দিয়েই পার হতে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করতে লাগানো হয়েছে বিশেষ সাইনবোর্ড। তবে তাতে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই তাদের।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবারও (২২ মে) এই প্রবণতা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। এদিন কিছু পথচারী ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করলেও অনেকেই রাস্তার মাঝখান দিয়েই পার হচ্ছিলেন।
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) হারুন-উর-রশিদ হাযারী জয়নিউজকে বলেন, মুরাদপুরের রাস্তায় পথচারী পারাপার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অবশ্য পথচারীদের এমন প্রবণতা মুরাদপুরেই প্রথম নয়। একই চিত্র দেখা গেছে নগরের অন্যান্য ফুটওভারব্রিজগুলোর ক্ষেত্রেও। নগরের ফকিরহাট ও কাস্টমস মোড়ে ফুটওভারব্রিজ থাকলেও তা ব্যবহার করেন খুব কম সংখ্যক পথচারী।
অন্যদিকে নিউমার্কেট ও স্টেশন রোডের ফুটওভারব্রিজ দুটি ব্যবহার উপযোগী নয়। বছরজুড়ে সেখানে থাকে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, এছাড়া মাদকসেবী-ছিনতাইকারীদের দৌরাত্মতো আছেই।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নগরবাসীকে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করতে হবে। একইসঙ্গে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের কঠোর ভূমিকা পালনেরও বিকল্প নেই।