ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতির ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখনো পায়নি পর্যাপ্ত সহায়তা। বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে দিন কাটছে তাদের। বিধ্বস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে অনেকেই শুকনো খাবার ছাড়া অন্য কোনো সহায়তা পাননি।
তবে বর্ষার আগেই ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি আদৌ নির্মাণ হবে কি না এ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় ভুগছে। তাদের দাবি, দ্রুত তালিকা করে তাদের পুনর্বাসন করা হোক।
অবশ্য জেলা প্রশাসন বলছে, ইতোমধ্যে শুকনো খাবারসহ ৭০ বান্ডেল ঢেউটিন বরাদ্দ করে তা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে মন্ত্রাণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রাণালয় থেকে বরাদ্দ প্রাপ্তির পর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
রামগতির চর নেয়ামত এলাকার আল্পনা বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে উড়ে গিয়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হলেও এক বান ঢেউটিন, ৩ হাজার টাকা আর কিছু শুকনো খাবার পেয়েছি। তবে ঘর তুলতে আরো টাকার প্রয়োজন। ৩ হাজার টাকা খাবার কিনতেই শেষ। এখন হাতেও টাকা নেই, মাথার ওপরে ছাদও নেই।
একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় সোনালী মুরগি ও চিংড়িঘের পরিচালক মিরাজ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ঘেরে চিংড়ি মাছ ও খামারের মুরগি মরে ২০ লাখ টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে মুরগি রাখার খামারও। সরকারি সহায়তা না পেলে আর ব্যবসা দাঁড় করানো সম্ভব নয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ফণীর আঘাতে জেলার ১২০ ঘর সম্পূর্ণ এবং ২৮৭টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত
এ ব্যাপারে রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ জানান,অনেকের ঘর ভেঙে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে সামান্য সাহায্য ছাড়া বড় ধরনের কোনো সহযোগিতা পায়নি কেউ। আর্থিক সংকটের কারণে তারা ঘর সংস্কার করতে পারছে না অনেকেই। যাদের ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে,তাদের আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে প্রয়োজন হবে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকার। ইতোমধ্যে সরকারি যে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে তা তাদের কোনো কাজে আসছে না ।
তবে জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল জয়নিউজকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য আরো সাহায্য চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন, শুকনো খাবার, চাউলসহ নগদ তিন হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে, সেজন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।
জয়নিউজ/পলাশ/আরসি