শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সচল রাখতে পানির গুরুত্বের কথা জানা কথা। গরমকালে শরীর সতেজ রাখতে সবসময় পানি পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শুধু পানি পান করেই স্লিম হওয়া যায়- এ কথা কি কোনো বাঙালি শুনেছেনে? শুনবেনই বা কী করে, এই থেরাপির জন্ম তো সুদূর জাপানে!
জাপানিরা দীর্ঘদিন ধরেই স্লিম হওয়ার ওষুধ হিসেবে পানির টোটকা ব্যবহার করে আসছে। ঈষদুষ্ণ পানিতে লেবু আর মধু ফেলে পান, এই অভ্যাস বাঙালির রয়েছে। তাতে কাজও হয়। কিন্তু ‘ওয়াটার থেরাপি’ এর থেকে অনেকটাই আলাদা। এখানে শুধু পানিকেই দাওয়াই হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এই থেরাপিতে প্রধান লক্ষ্য থাকে, পানির ব্যবহারে পাকস্থলীকে যাতে সব থেকে ভালো কাজের অবস্থায় পৌঁছে দেওয়া যায়। একইসঙ্গে লক্ষ্য থাকে হজমশক্তি ফিরিয়ে আনার এবং শরীরের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার। একশ’ বছরের বেশি সময় ধরে জাপানিরা এই টোটকায় বিশ্বাস রেখে আসছে। ফলও মিলছে হাতেনাতে।
ওয়াটার থেরাপির নিয়ম
১) সকালে উঠেই খালি পেটে চার থেকে পাঁচ গ্লাস পানি পান করতে হবে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করবে খালি পেটে এই অভ্যাস।
২) দাঁত ব্রাশ করার পরও অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পানি ছাড়া কিছুই খাওয়া যাবে না।
৩) খাবার প্রতিদিন এক সময়ে খেতে হবে। খাবার খাওয়ার পর কোনোভাবেই দু’ঘণ্টা পানি পান করা চলবে না।
৪) শারীরিক কোনো সমস্যা থাকলে বা বার্ধক্যজনিত কারণে হঠাৎ সকালে অনেকেই হয়ত চার গ্লাস পানি একবারে পান করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে আস্তে আস্তে পানির পরিমাণ বাড়ান। প্রথমে শুরু করুন সকালবেলা বাসি মুখে এক গ্লাস পানি দিয়ে।
৫) এই থেরাপি চলাকালে পানি হোক বা অন্য কোনো খাবার, কখনোই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাওয়া যাবে না।
ওয়াটার থেরাপি শুরু করলে কয়েক দিনের মধ্যেই হাতেনাতে ফল পাওয়া যাবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এর ফলে বিপাকের হার বাড়বে। সঠিকভাবে কাজ করবে পরিপাকতন্ত্র। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর থেকে ঝরে যাবে অতিরিক্ত মেদ। এজন্য দরকার নেই কোনো অতিরিক্ত কসরত। প্রয়োজন নেই কোনো ক্ষতিকর কৃত্রিম ডায়েট, যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভোগাতে পারে।