লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশ ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে এক এসআইসহ ৪ পুলিশ সদস্য রয়েছে।
শুক্রবার (২৪ মে) রাত সাড়ে ১০দিকে রামগতির জমিদারহাট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানান, শুক্রবার রাতে রামগতির জমিদারহাট এলাকায় মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গদা চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করতে যায় পুলিশ। রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় গদা চন্দ্র দাসের আত্মীয়রা আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে হামলার শিকার হয়। এ ঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়। এসময় ১০ জনকে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, রাতে সিভিল বেশে স্থানীয় কয়েকজনসহ ৫/৬ পুলিশ গদা চন্দ্র দাসকে আটক করে। পরে তাকে বলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। গদা চন্দ্র দাস পুলিশকে তার বিরুদ্ধে যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে তা দেখাতে বলে। এ নিয়ে কথা কাটাটির একপর্যায়ে পুলিশ গদা চন্দ্র দাসকে ছিনিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। এসময় বাধা দিতে গিয়ে হামলায় শিকার হন গ্রামাবাসী। এতে ওই এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক লিঙ্কন, চা দোকানদার সংঙ্গীতসহ ২১ জন আহত হয়। এ ঘটনায় রাতেই পোশাক পরিহিত আরো ১০/১২ জন পুলিশ এসে গদা চন্দ্র দাসকে খুঁজতে থাকে এবং না পেয়ে ১০ জনকে আটক করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট নারায়ন চন্দ্র দাস বলেন, পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে আসায় ও ওয়ারেন্টের কাগজ দেখাতে না পারায় পুলিশের উপর সন্দেহ হয় গ্রামবাসীর। এ জন্য পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাদের। পুলিশ এ ঘটনায় বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে। এছাড়াও পুলিশ অন্যায়ভাবে নিরপরাধ ১০ জনকে আটক করে নিয়ে গেয়ে গেছে।
রামগতি থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক জানান, রাতে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ধরতে গেলে আসামিদের আত্মীয়ের হামলায় ১ এসআইসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এছাড়া পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।