নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। অথচ ভোটে জেতার পর দেরি না করে ইমরান ট্যুইটারে মোদিকে শুভেচ্ছা জানান৷ তারপর রোববার (২৬ মে) ফোন করে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে তাঁর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন।
মোদি অবশ্য জানিয়ে দেন, আলোচনা হবে৷ তবে আলোচনার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা দরকার৷ দুই দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনের আগে পাকিস্তানকে বিশ্বাস ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
৩০ মে রাষ্ট্রপতি ভবনে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেবেন মোদি। অতিথি নিমন্ত্রণের তালিকাও প্রায় তৈরি৷ ‘প্রতিবেশী প্রথম’- এ বিদেশনীতির উপর জোর দিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বিমসটেক গোষ্ঠীভুক্ত ছয়টি দেশ বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভূটানের রাষ্ট্রনেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর বাইরে ক্রেজ রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট এবং মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এদের বাইরে বিশ্বের শক্তিধর দেশের প্রেসিডেন্টদের আমন্ত্রণ জানানো নিয়েও জল্পনা চলছে। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং প্রমুখ। এরা প্রত্যেকেই মোদির জয়ের পর তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান।
ইমরান খান যে মোদির শপথগ্রহণে ডাক পাননি তা জানিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।
২০১৪ সালে মোদি যখন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন, তখন সার্কভুক্ত দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে। তাতে শামিল ছিলেন তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও।
জয়নিউজ/আরসি