চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় শীর্ষসন্ত্রাসী অমিত মুহুরী খুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মাশহুদুল কবীরকে প্রধান করে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এক সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য এক কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) দিবাগত রাতে কারাগারে অমিত মুহুরী খুন হন।
মাশহুদুল কবীর জয়নিউজকে বলেন, কারাগারের ৩২ নম্বর সেলে থাকতেন অমিত মুহুরী। তার সঙ্গে থাকতেন দুই কয়েদী রিপন নাথ ও বেলাল। রাতে পাশাপাশি শুয়ে ছিল অমিত ও রিপন। হঠাৎ বেলাল দেখতে পায়, রিপন অমিতকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করছে।
তবে অমিত ও রিপনের মধ্যে কোনো হাতাহাতি বা মারামারি হয়েছে কি-না এ ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষ কিংবা বেলাল তাকে কিছু জানাননি বলে জানিয়েছেন মাশহুদুল কবীর।
কারাগার সূত্র জানায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে অমিতের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় বন্দি রিপনের। পরে রিপন ধারালো কিছু দিয়ে অমিতকে মাথায় আঘাত করে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে অমিত মুহুরীকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর জখম অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন কারারক্ষীরা। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ২৮নং ওয়ার্ডে পাঠান। রাত ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।