লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের জেলার শাহ আলমসহ ১১ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইয়াবা সরবরাহ ও এর প্রতিবাদ করায় স্থানীয় যুবক আসিবুল হাসান নামে এক ব্যাক্তিকে মারধর করার অভিযোগ এনে এ মামলা করা হয়।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন আটিয়াতলী গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে ভুক্তভোগী আসিবুল হাসান। পরে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে নোয়াখালী পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কারারক্ষীরা কারাগারের ভিতরে ইয়াবা বিক্রি ও সরবরাহ করে আসছিল। এসব ইয়াবা সরবরাহের সহযোগিতা করেন জেলার শাহ আলম নিজেই। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এসব ঘটনার বিচার চেয়ে বারবার জেলারকে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
উল্টো স্থানীয় এলাকাবাসীকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদী।
৩১ মে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে জেলখানার পিছনে কারারক্ষী আলমগীর হোসেন ও নাছির উদ্দিনকে ইয়াবা বিক্রি করার সময় তাদের বাধা দেয় স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে আলমগীর হোসেনকে ইয়াবাসহ আটক করে ইসলাম মার্কেটের সামনে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। এ খবর পেয়ে জেলার শাহআলম ও কারারক্ষীরা ঘটনাস্থলে এসে মামলা বাদী আসিবুল হাসানসহ অন্যদের ওপর হামলা করে আলমগীর হোসেনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
বাদীর আইনজীবী সৈয়দ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম নাহিদ জয়নিউজকে জানান, কারাগারে ইয়াবা সরবরাহ ও এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় এলাকাবাসীর ওপর হামলার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ মামলা জেলার শাহ আলমসহ ১১ কারারক্ষীকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নোয়াখালী পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
জেলা কারাগারের জেলার মো. শাহ আলম আদালতে মামলার বিষয়টি শুনেছেন বলে জানিয়ে বলেন, বিশৃঙ্খলার অভিযোগে আসিবুল হাসানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলাকে ধামা-চাপা দিতে পাল্টা মামলা দায়ের করেছে।