যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা, রাত সাড়ে তিনটা। নিজ ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন মেরি। হঠাৎ শুনলেন রান্নাঘরে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ। ছুটে গেলে রান্নাঘরে। কিন্তু যা দেখলেন তা দেখে ঘাবড়ে যান।
মেরির রান্নাঘরের মেঝেতে চড়ে বেড়াচ্ছে ১১ ফুট লম্বা এক কুমির! বিশাল লেজের আঘাতে কুমিরটি জিনিসপত্র উল্টেপাল্টে ফেলছে, আর ক্রদ্ধ হুঙ্কার করছে। ইতোমধ্যে কুমিরটি ভেঙে ফেলেছে রান্নাঘরের জানালার কাঁচ।
সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে সরে যান মেরি। তৎক্ষণাৎ ফোন দেন ৯১১-তে। এরপর ফোন দেন পরিবেশ বিভাগে।
পুলিশ এসে স্থানীয় এক শিকারিকে খবর দেয়। ওই শিকারি জালে আটকে কুমিরটিকে ধরে। পরে কুমিরটিকে স্থানীয় চিড়িয়াখানার পরীক্ষাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ক্লিয়ারওয়াটার পুলিশ জানায়, কুমিরটি একটি পুরুষ কুমির। কাছাকাছি কোনো কুমির প্রজনন কেন্দ্র বা চিড়িয়াখানা থেকে কুমিরটি পালিয়ে আসতে পারে বলে তারা ধারনা করছে।
কুমিরটি প্রায় এক ঘণ্টা ছিল মেরির বাড়িতে থাকলেও কেউ হতাহত হয়নি। তবে ধরা পড়ার আগে সে মেরির ওয়াইন র্যাক উল্টে ফেলে।
ফ্লোরিডায় বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় কঠোর আইন থাকায় প্রাণ সংশয় না হলে কেউ প্রাণী হত্যা করতে পারে না। এ কারণে গত কয়েক বছরে সেখানে কুমিরের সংখ্যা ব্যাপকে বেড়েছে। প্রায়ই রাস্তাঘাটে এবং মানুষের বাড়িতে চলে আসে কুমির।
ফ্লোরিডায় শুধু ২০১৮ সালেই আট হাজারের বেশি কুমির মানুষের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। গতবছরের জুনে এক বাড়িতে কুমিরের আক্রমণে মারা যান একজন নারী। ১৯৪৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ফ্লোরিডায় কুমিরের আক্রমণে মারা গেছেন ২২ জন।
জয়নিউজ/হিমেল