ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণায় বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দলীয় পতাকা সরানোকে কেন্দ্র করে শনিবার (৮ জুন) সন্দেশখালির নাইজাটে দু’পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ২৬ বছর বয়সী কায়ুম মোল্লা নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি তৃণমূল কর্মী।
রাজ্যের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর দাবি, সংঘর্ষে তাদের দলের ৫ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। বাকি ২ জনের মরদেহ পুলিশ সরিয়ে ফেলেছে।
এছাড়া আরও ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। ওই ৪ জনের মধ্যে শঙ্কর মণ্ডল এবং দেবদাস মণ্ডল নামে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, আমাদের এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বিজেপির কর্মীরা তাকে মেরে ফেলেছে। তার মাথায় গুলি করা হয়েছে। বিজেপি যদি মারার রাজনীতি শুরু করে আমরাও ছাড়ব না।
এই ঘটনায় সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। পাশাপাশি পুরো বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপির দীর্ঘদিনের অভিযোগ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তাদের কর্মীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত ৬ বছরে রাজনৈতিক সংঘর্ষে তাদের ৫৪ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে মাত্র দুটি আসনে জিতেছিল বিজেপি। তবে এবার তা বেড়ে হয়েছে ১৮। অন্যদিকে, এবারের নির্বাচনে ২২টি আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ৩৪টি আসন।
জয়নিউজ/আরসি