টেরিজা মে’র দলীয় প্রধান বা প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার ঘোষণার পরই শুরু হয় আসনটি পাওয়ার লড়াই। ইতোমধ্যে সে লড়াই বেশ জমে উঠেছে।
এ পর্যন্ত মাঠে নেমেছেন ১১ প্রার্থী। তবে কে বসতে পারেন কনজারভেটিভ নেতা তথা প্রধানমন্ত্রীর আসনে, তা চূড়ান্তভাবে জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও ক’দিন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু থেকে প্রথমে চারজনের নাম এসেছিল। পরে একে একে এ লড়াইয়ে নেমেছেন ১১ এমপি।
এরমধ্যে ‘যোগ্যতার বিচারে’ এগিয়ে আছেন দেশটির চমকপ্রদ এবং সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব বরিস জনসন। তিনি একসময় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। একইসঙ্গে লন্ডনের মেয়রও ছিলেন। ৫১ বছর বয়সী গোভও দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছেন।
একইসঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ররি স্টুয়াট ও কনজারভেটিভ ১৯২২ কমিটির প্রেসিডেন্ট গ্রাহাম ব্রাডির। পাশাপাশি এই ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে দুইজন নারীও রয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যম। সাবেক শ্রম বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাস্থার ম্যাকভি এই দুইজনের মধ্যে একজন।
সোমবার (১০ জুন) প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থিতা দাখিল করার শেষদিন। পার্লামেন্টের যে কোনো কনজারভেটিভ সদস্য প্রার্থী হতে পারবেন। তবে তার প্রার্থিতায় আটজন সহকর্মী বা কনজারভেটিভ আট এমপির সমর্থন লাগবে।
পরে শুরু হবে বাছাই প্রক্রিয়া। এমপিরা গোপন ভোটের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বাছাই করে নেবেন। এতে করে বাদ পড়ে যাবেন অনেকে। এভাবে যখন মাত্র দুইজন প্রার্থী থাকবেন লড়াইয়ে, তখন দলটির সব সদস্য ভোট দিয়ে যে কোনো একজনকে নেতা নির্বাচিত করবেন। আগামী ২২ জুন এই ভোট হওয়ার কথা।