বর্ষা আসতে না আসতেই লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে দুই উপজেলার ১০টি নতুন এলাকার হাজার হাজার বসতবাড়ি।
রামগতি-কমলনগরে মেঘনা নদীর ভাঙন প্রতিরোধে ও তীর রক্ষা বাঁধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার (৯ জুন) দুপুরে ‘কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চ’ এর উদ্যোগে কমলনগর হাজিরহাট বাজারে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল অংশ নেন বিপুল সংখ্যক জনতা।
ঈদের পরদিন থেকে ভাঙন প্রতিরোধ ও ভিটেমাটি রক্ষায় বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে ডাম্পিং না করেই বাঁধ নির্মাণ করেছে। বাঁধ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের বালু ও জিও ব্যাগ। এ কারণে গত একবছর বাঁধে ৭ বার ধস নামে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে নতুন করে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে।
অন্যত্র থেকে মাটি সংগ্রহ করে বাঁধ নির্মাণ করার কথা থাকলেও নদীর তীর থেকে মাটি উত্তোলন করে বাঁধ নির্মাণ করায় বারবার বাঁধে ধস নামছে।
এবার বর্ষার শুরুতেই ফের ধস দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে কমলনগর উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু না হওয়ায় বাঁধের দু’পাশের বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙছে।
এদিকে নদী ভাঙন রক্ষা ও বাঁধ নির্মাণের দাবিতে ‘কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চ’এর উদ্যোগে ঈদের পর থেকে তিনদিন ধরে সমাবেশে ও মিছিল অব্যাহত রয়েছে।
সংগঠনের আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার ফলোয়ানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতলব, রাকিব হোসেন ও দিদার হোসেন।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুসা জয়নিউজকে বলেন, রামগতি থেকে কমলনগর উপজেলার মতিরহাট এলাকা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রথম ধাপে ১ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের জন্য ১৭শ’ ৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে। তবে বর্তমানে নদীতে ধসে যাওয়া অংশসহ নতুন করে আরও ৪শ’ মিটার বাঁধের মেরামতের টেন্ডার হয়েছে।