হাটহাজারীতে পাগলা কুকুরের উৎপাত দিন দিন বেড়েই চলেছে। অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই জলাতঙ্ক রোগের কোনো ভ্যাকসিন (প্রতিষেধক)। পাগলা কুকুরের কামড় খেয়ে অনেকেই জলাতঙ্ক রোগের আতঙ্কে ভুগছেন।
কুকুরের কামড়ের পর স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আক্রান্তদের চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। অথচ অর্থের অভাবে অনেকেই চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম শহরে যেতে পারছেন না বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনে কোনো অভিযান পরিচালিত হয়নি। ফলে কুকুরের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
জলাতঙ্ক রোগের জীবাণুবাহী এসব কুকুর যখন-তখন মানুষ ও গবাদি পশুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে স্থানীয় বাজারে ওষুধ ব্যবসায়ীরা ভ্যাকসিনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে তিন থেকে চারগুণ। ৩ শ’ থেকে ৪ শ’ টাকার ভ্যাকসিন বিক্রি হচ্ছে এক থেকে দেড় হাজার টাকায়। ফলে অস্বচ্ছল মানুষ এই ভ্যাকসিন কিনতে পারছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ওষুধ ব্যবসায়ী বলেন, বিদেশি এসব ভ্যাকসিন তো আর সবসময় চলে না। তাই একটু চড়া দাম না নিলে পোষাব কি করে!
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবু সৈয়দ মো. ইমতিয়াজ মুঠোফোনে জয়নিউজকে বলেন, উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে কখনও জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন (প্রতিষেধক) ছিল না।
৮ জুন (শনিবার) দিনে ও দিবারাতে কুকুরের কামড়ে আহত ৮ জনকে স্থানীয় লোকজন আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।