চিকিৎসক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসির দপ্তরে ভাঙচুর চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে ভাঙচুর চালায় আন্দোলনকারীরা ।
জানা যায়, আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি নিয়ে ভিসি কার্যালয়ে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনকারীরা এ ভাঙচুর চালায়। তারা ভিসির সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রচুর পুলিশ সদস্য নিয়োজিত আছে।
চিকিৎসক নিয়োগের জন্য মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রায় ২০ জনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। দুপুরেও প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা হবে কি-না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া জয়নিউজকে বলেন, আমি সবকিছু নিয়মমতো চালাতে চাইছিলাম। কিন্তু এরকম পরিস্থিতির পরে আমি আর কোনো মন্তব্য করব না। কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই বাস্তবায়ন করব।
এর আগে চিকিৎসক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
চাকরিপ্রার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিএসএমএমইউ’র একাডেমিক ভবনের নিচে আমরণ অনশন শুরু করেন অর্ধশতাধিক চিকিৎসক।
জানা গেছে, ঈদের ছুটির পর রোববার বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি নিয়ে ভিসি কার্যালয়ে দেখা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় তারা সোমবার থেকে অনুষ্ঠেয় চিকিৎসক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মিছিল করে। পাশাপাশি নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় গ্রহণের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয়।
এ সময় তারা উপাচার্যের কার্যালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে ১৫ জন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তারা দাবি নিয়ে ভিসি কনক কান্তি বড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। এমন সময় পুলিশ ও আনসার সদস্যরা বিনা উস্কানিতে তাদের ওপর হামলা চালায়।