জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বাজেট পেশ করেন।
দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের….
গুঁড়ো দুধ, অপরিশোধিত চিনি, পরিশোধিত চিনি, প্রাকৃতিক মধু, অলিভ ওয়েলের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের কুকার, ওভেন, কুকিং প্লেট, গ্রিলার, রোস্টারের উপর সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
স্মার্টফোনের শুল্ক বেড়েছে, একইসঙ্গে বাড়ছে মোবাইল ফোনে কথা বলার খরচ। সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে আইসক্রিমের ওপর।
আমদানি পর্যায়ে মূসক আরোপ করা হয়েছে সয়াবিন তেল, পাম ওয়েল, সান ফ্লাওয়ার তেল, সরিষার তেলের ওপর। এছাড়া টিভি ও অনলাইনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সরবরাহকারী, স্থানীয় পর্যায়ে জ্যোতিষী ও ঘটকালিতে মূসক আরোপ করা হয়েছে।
মূসক আরোপ করা হয়েছে প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি তৈজসপত্র আমদানির ক্ষেত্রে।
সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে যাত্রীবাহী বাস, স্কুল বাস, ট্রাক লরি, থ্রি হুইলার ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট, ফিটনেস সনদ, মালিকানা সনদ নবায়ন ও গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিশোধিত চার্জের ওপর।
সম্পূরক শুল্ক বেড়েছে চার্টার্ড বিমান ও হেলিকপ্টারের ওপর।
এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে। একইসঙ্গে দাম বাড়তে পারে আমদানি করা মোটরসাইকেলের।
যেসব পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে…
প্রতি কেজিতে ১৫০ টাকা পর্যন্ত মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে পাউরুটি, বনরুটি, হাতে তৈরি কেকের ক্ষেত্রে।
শুল্ক কমানো হয়েছে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত উপকরণের।
কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের ক্ষেত্রে।
স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে কৃষি যন্ত্রপাতি পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার অপারেটেড সিডার, কম্বাইন্ড হারভেস্টর, লোরোটারী টিলার, লিস্ট পাম্পের ক্ষেত্রে।
এসব পণ্যের দাম কমতে পারে। একইসঙ্গে দাম কমতে পারে দেশে উৎপাদিত মোটরসাইকেলের।