নগরবাসীর পানির চাহিদা মেটাতে এবার এটিএম বুথের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। নামমাত্র মূল্যে এই পানি বিক্রি করা হবে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে পথচারী ছাড়াও বুথের আশপাশের বাসাবাড়ির লোকজন, হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো এই সুবিধার আওতায় আসবে।
ওয়াসার প্রকৌশল বিভাগের তথ্যমতে, ড্রিংকিং ওয়েল ওয়াটার এটিএম নামের পাইলট প্রকল্পটি নিয়ে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসা এগিয়েছে অনেকদূর। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সহযোগী হতে আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশি মিনহাজ চট্টগ্রামে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছেন। ড্রিংকিং ওয়েল ওয়াটার কোম্পানি আমেরিকা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাফল্যের সঙ্গে এই ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
সূত্র মতে, এটিএম বুথের জন্য জায়গা ছাড়াও পানি এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে ওয়াসা। বাণিজ্যিক হারে ড্রিংকিং ওয়েল ওয়াটার কোম্পানির কাছে পানি বিক্রি করা হবে। এছাড়া বিদ্যুৎ ও মেনটেইনেন্সসহ বিবিধ খরচ বহন করবে কোম্পানিটি।
পরীক্ষামূলকভাবে ওয়াসার প্রধান কার্যালয়ের সামনে, আগ্রাবাদ ওয়াসা (মড-১) অফিসের সামনে এবং বহদ্দারহাটে (ওয়াসা বোস্টারের সামনে) বুথ স্থাপন করা হবে। বুথে কোম্পানির প্রতিনিধির কাছে এটিএম কার্ড পাওয়া যাবে। রির্চাজেবল এই কার্ড দিয়ে সারাক্ষণ পাওয়া যাবে পানি। ব্যাংকের এটিএম কার্ডের মতো এই কার্ডেও থাকবে পাসওয়ার্ড। ওয়াসার পাইপলাইনের পানিকে আরো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিশোধন করেই ওয়াটার বুথে গ্রাহকদের জন্য সরবরাহ করা হবে।
আপাতত কোনো খরচ ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বহন করবে না। শুধুমাত্র সিস্টেম চালুর পরই খরচের উপর ভিত্তি করে গ্রাহকের পানির দাম নির্ধারণ করা হবে। আশা করা হচ্ছে, প্রতি লিটার পানি ৬০ পয়সা দরে বিক্রি সম্ভব হবে।
ওয়াটার এটিএম বুথ স্থাপন সংশ্লিষ্ট চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, যারা বাসাবাড়িতে জারের পানি ব্যবহার করেন, তারা ওয়াটার বুথ থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে পানি সংগ্রহ করতে পারবেন। পানির গুণগত মানের ব্যাপারে ক্রেতারা আস্থা রাখতে পারবেন। এতে করে বোতলজাত পানির ব্যবহার কমবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, ড্রিংকিং ওয়েল ওয়াটার এটিএম নামের পাইলট সিস্টেমটি নগরবাসীর বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মেটাবে। এটি বাস্তবায়ন হলে বুথ থেকে সারাক্ষণ পানি পাওয়া যাবে।
তিনি জানান, আমাদের লক্ষ্য শুধু উচ্চ বা মধ্যবিত্ত নয়। ভিক্ষা করেন এমন মানুষও যেন চট্টগ্রাম ওয়াসার বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই ভাবনা থেকেই স্বল্পমূল্যে নগরবাসীর জন্য পাইলট প্রকল্পটি হাতে নেওয়া। সফলতার ভিত্তিতে নগরে আরো বুথ স্থাপন করা হবে।
জয়নিউজ/আরসি