এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর মনে চরম ব্যথা, ক্ষোভ ও দুঃখ বিরাজ করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সিনিয়র সচিব কর্তৃক গত ১৫ এপ্রিল ২০১৯ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশসহ মোট ১০ শতাংশ কর্তনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট লিখিত আদেশ- এ ক্ষোভের কারণ। দেশের ৯০ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে নিয়োজিতদের উপর এমন অমানবিক আচরণ কেউ সহজভাবে মেনে নেয়নি। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এ যাবৎ যতটুকু অর্জন, সবটুকুই আন্দোলনের ফসল। সর্বশেষ ২০১৮ সালের শিক্ষক আন্দোলন ছিল স্মরণকালের বৃহত্তর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখীভাতা প্রদান করে সকলের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক সমস্যা ও শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক উন্নয়নের কথা উপলব্ধি করে অতীতের ন্যায় ‘৮ম জাতীয় পে স্কেল’ প্রদান করে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছে সমাদৃত হয়েছেন। তাই বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতি কৃতজ্ঞ।
কিন্তু যখন সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষা জাতীয়করণের লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ উৎসবভাতা, ন্যায্য বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা প্রাপ্তির প্রত্যাশায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান, ঠিক তখনই শিক্ষক সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা না করেই বাড়তি সুযোগ-সুবিধার ঘোষণা ছাড়াই অতিরিক্ত এই কর্তনের ফলে শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। ২০১৭ সাল থেকেই চক্রান্ত শুরু হয়েছে। বিগত ১৫ জুন ২০১৭ কল্যাণ ট্রাস্ট এবং ২০ জুন ২০১৭ অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ১০ শতাংশ কর্তনের পৃথক দুটি অমানবিক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। সেই সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ ও বিভিন্ন ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে আদেশটি স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১৩ দিন পূর্বে ১০% কর্তনের জন্য পুনরায় একটি আদেশ জারি করা হয় মন্ত্রণালয় থেকেই। সেটিও শিক্ষক-কর্মচারীদের অসন্তোষের প্রেক্ষিতে মাননীয় শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন ভুল স্বীকার করে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করে নেন।
তিনি গত ৯ জানুয়ারি ২০১৯ অবসর সুবিধা বোর্ডের সভায় উপস্থিত সদস্যদের সামনে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন না করার অভিমত পুনর্ব্যক্ত করেন। পরিতাপের বিষয়, পুনরায় গত ১৫ এপ্রিল ২০১৯ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিওভূক্ত মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশসহ মোট ১০ শতাংশ কর্তনের জন্য মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে লিখিত আদেশ প্রদান করে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে জানুয়ারি ২০১৯ থেকে এ কর্তন শুরু করা হয়। বাড়তি কোনো সুযোগ-সুবিধা না পেলে অতিরিক্ত চাঁদা কর্তনে বেসরকারি শিক্ষকদের লাভ কী?
বৃহত্তর শিক্ষক সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। স্মারকলিপি পেশ ও মানববন্ধন করেছে বেশ কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন। অসন্তোষের মাত্রা তীব্রতর হচ্ছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা অবসর গ্রহণের পর গ্র্যাচুয়াটি ও পেনশন পান না। শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে ১৯৯০ সালে কল্যাণ ট্রাস্ট চালু করা হয়। ছয়মাস সচল থাকার পর ১৯৯১ সালে কল্যাণ ট্রাস্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন সরকার কল্যাণ ট্রাস্ট বন্ধ রাখে।
১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে কল্যাণ ট্রাস্ট পুনরায় চালু করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৫ সাল থেকে অবসর সুবিধা বোর্ড আইন চালু করা হয়। শিক্ষক-কর্মচারীদের মাসিক বেতন থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য ২ শতাংশ ও অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য ৪ শতাংশ কর্তন করে জমা রাখা হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানসমূহে। অবসর গ্রহণের পর এ থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা কিছু সুবিধা পেয়ে থাকেন। এ ফান্ডের অর্থের জোগানদাতা শিক্ষক-কর্মচারীদের জমা অর্থ ও সরকারি অনুদান। শিক্ষক-কর্মচারীদের দুরবস্থার কথা বিবেচনা করে সংকট নিরসনে বিগত সময়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। অর্থ প্রাপ্তির দ্রুততায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের জন্য শিক্ষক-কর্মচারীরা কৃতজ্ঞ। নতুন বেতন স্কেলে যারা অবসরে যাচ্ছেন আর্থিক সংকটে তাঁদের আবেদন নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হওয়ার অজুহাতে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন হবে বলে দু’বোর্ডের সদস্য সচিবের অভিমত। কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন করে অবসর গ্রহণকারীদের টাকা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে কেন! অবসর গ্রহণের ২ মাসের মধ্যে সকলের নিজ নিজ একাউন্টে টাকা প্রাপ্তি এখন সময়ের দাবি। বর্তমানে টাকার সংকটের কথা বলা হচ্ছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের পক্ষে সদস্য সচিবদ্বয়ের লেজুড়বৃত্তি শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
কর্মরত পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর মাঝে এখন তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সদস্য সচিবদ্বয়ের অযৌক্তিক দাবি, শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে বাড়তি ৪ শতাংশ অর্থ প্রতি মাসে কেটে রেখে ঘাটতি মেটাতে হবে। এতে শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীমহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। গত ২১ মে ২০০৯ দৈনিক সমকালে সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্তের প্রকাশিত নিবন্ধে তিনি এভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন- ‘সরকার থেকে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে না। অতএব সহজ সমাধান সূত্র বের হলো- লাখ লাখ শিক্ষকের কাছ থেকে বাড়তি ৪ শতাংশ অর্থ প্রতি মাসে কেটে রাখো। এভাবে কৈয়ের তেলে কৈ মাছ ভাজ! শিক্ষকদের অবসর ও কল্যাণ পরিচালনা কমিটিতে শিক্ষকদের তরফে একজন প্রতিনিধি আছেন। তবে এটা সম্মানের পদ। কোনো আর্থিক সুবিধা নেই। সম্প্রতি একটি রটনা অবশ্য চাউর- তাঁর জন্য বিলাসবহুল একটি গাড়ি কেনা হচ্ছে এবং এজন্য অর্থের জোগান দেওয়া হবে শিক্ষকদের অবসর-কল্যাণ ফান্ডের জন্য তাদের বেতন থেকে কেটে নেওয়া অর্থ থেকে। ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ প্রবাদের এক্কেবারে সার্থক প্রয়োগ! ভূতের অস্তিত্ব নেই, তার আবার বাপ! তার আবার শ্রাদ্ধ!’
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টে জমাকৃত টাকার কোনো সঠিক হিসাব নেই। বিগত সময়ে কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা লোপাটের কথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষকদের জমাকৃত ট্রাস্টের টাকা ব্যক্তিগত ইচ্ছায় পছন্দের ব্যাংকে রেখে বিগত সময়ে কতিপয় সদস্য সচিব নিজেই লাভবান হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের টাকার হিসাব চাওয়া হয়েছে। এ সংস্থার টাকা তছরুপের কথা এখন সর্বত্র চাউর। একজন ব্যক্তিকে বারবার একই পদে নিয়োগের কারণ কী? শিক্ষক-কর্মচারীদের জমাকৃত টাকা নিয়ে একজন ব্যক্তির বিলাসিতা ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে। যেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক প্রবাদের মতো- ‘ডিম পাড়ে হাঁসে, খায় বাঘডাসে।’
অবসরে যাওয়ার পর টাকার সংকটে অবসর গ্রহণকারীদের সুবিধা দেয়া যাচ্ছে না, তা মেনে নেয়া যায় না। এ সমস্যার সমাধানে সিডমানি বাড়িয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন বন্ধ করা যেতে পারে। সবদিক দিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেলায় এরকম তো হচ্ছে না। কেবল বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেলায় যত জবরদস্তি আর জুলুম! এ সমাজে শিক্ষক সম্প্রদায় একটি চরম অবহেলিত পেশাজীবী গ্রুপ- বিশেষ করে বেসরকারি শিক্ষকরা। শিক্ষকতা এখানে অমর্যাদাকর, শিক্ষকরা অসহায়। শিক্ষকদের সম্পর্কে বিদ্যমান সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি সরকারি দৃষ্টিভঙ্গিও রীতিমতো অস্বস্তিকর। অতিরিক্ত কর্তনের সার্কুলারটি জারির পূর্বে শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা অপরিহার্য ছিল। চাঁদা বৃদ্ধির আগে কী পরিমাণ সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে, সেটি স্পষ্ট করা দরকার ছিল। ৬ শতাংশ চাঁদায় যদি ১০০ মাসের বেতনের সুবিধা পাওয়া যায়, তাহলে ১০ শতাংশে কমপক্ষে তা ১৭৫ মাসের সমান হওয়ার কথা। এ সব বিষয়ে ফয়সালা না করে কেবল চাঁদা বৃদ্ধির বিষয়টি অন্যায় ও অযৌক্তিক।
অথচ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ শিক্ষকদের মর্যাদা, অধিকার ও দায়িত্ব বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা আছে, ‘মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষকতায় আগ্রহী এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে সকল স্তরের শিক্ষকদের মর্যাদার বিষয় গভীরভাবে বিবেচনাপূর্বক পুনর্বিন্যাস করা হবে, যাতে তারা যথাযথ মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন। শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা শুধুমাত্র সুবিন্যস্ত বাক্যগাঁথার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে প্রকৃত অর্থে তাঁদের সামাজিক মর্যাদা দেওয়া না হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা সম্ভব নয়। সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষকদের আত্মপ্রত্যয়ী, কর্মদক্ষ ও শিক্ষাক্ষেত্রে এক একজন সফল অবদানকারী হিসাবে গড়ে তোলা জরুরি। আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সকল স্তরের শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো প্রণয়ন করা হবে।’
শিক্ষার জন্য সরকারকেই বেশি অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট এর মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধা প্রদানের পরিবর্তে পূর্ণাঙ্গ পেনশন চালু করা এখন সময়ের দাবি। সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূর হওয়া প্রয়োজন। টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে শিক্ষক সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। সরকারের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকা অপশক্তি, যাদের মানসিকতা- তারা শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করে শিক্ষার উন্নয়ন চায়। শিক্ষক ও এ পেশার সাথে সংশ্লিষ্টদের অসম্মান করে শিক্ষার যথাযথ মান উন্নয়ন হবে না। দেশের সামগ্রিক উন্নতির কথা চিন্তা করে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাপারে কি সরকার এগিয়ে আসতে পারে না? যে দেশে নানা খাতে বিপুল অর্থ অপচয় হয়, সে দেশে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য আর্থিক বরাদ্দে এমন কি ক্ষতি?
মাদার অব হিউম্যানিটি খেতাবপ্রাপ্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছায় ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখীভাতা পেয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ আজ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। তাঁর নেতৃত্বে দেশ আজ সারা পৃথিবীতে উন্নয়নের রোল মডেল। তাই তাঁর কাছে প্রত্যাশা- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা জাতীয়করণের লক্ষ্যে সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসবভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদানসহ পূর্ণাঙ্গ পেনশন চালুকরণ এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ১০ শতাংশ কর্তনের প্রজ্ঞাপনটি বাতিলের জন্য নির্দেশনা দেবেন।
লেখক: প্রধান শিক্ষক, ড. শহীদুল্লাহ একাডেমী, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম অঞ্চল