নদীর করাল থাবার সাথে পরিচিত বাংলাদেশের মানুষ। প্রতিনিয়তই নদীগর্ভে বিলীন হয় শত শত ভিটেবাড়ি, রাস্তা ও স্কুলঘর । এবার উন্মত্ত পদ্মায় বিলীন হতে চলল রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ি! কিন্তু সংরক্ষণের চেষ্টা যথাযথ ছিল কি না- প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি রক্ষায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার নির্মিত বাঁধটি ভেঙ্গে গেছে। যে কোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে কুঠিবাড়ি।
নির্মাণের দুই মাসের মাথায় বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণ হিসেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে কাজ না করার ফলেই এ ধসের সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ‘কুষ্টিয়া জেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি সংলগ্ন এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় পদ্মা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্পের ৩ হাজার ৭২০ মিটার বাঁধ নির্মাণ করে সরকার।
এরমধ্যে কয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর অংশে ২ হাজার ৭২০ মিটার এবং শিলাইদহ অংশে ১ হাজার মিটার সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি।
প্রকল্পটি নিয়ে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা। ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে গত ৩০ জুন অসম্পূর্ণ প্রকল্পকে সম্পূর্ণ দেখিয়ে কাগজে-কলমে প্রকল্পটি হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ।
প্রকৃতপক্ষে পদ্মা নয়, দুর্নীতিবাজদের কারণেই রবি ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ি চিরতরে হারাতে চলেছে বাংলাদেশ ।
জয়নিউজ/এডি