লক্ষ্মীপুরের দিদার হোসেন ও জহুরা বেগম যুগলের সংসারে মতের অমিল ছিল অনেক। তাই বিচ্ছেদে সমাধান খোঁজেন তারা। ডিভোর্সের কিছুদিন পর অন্যত্র বিয়েও করেন।
তবে নতুন সংসারেও মন বসেনি তাদের। দ্বিতীয় বিয়েও ভেঙে দেন তারা। তারপর দিদার আবার বিয়ে করেন জহুরাকে। কদিন যেতে না যেতেই তাদের মধ্যে ফের শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। যার পরিণতিটা হয়েছে ভয়াবহ।
সোমবার (১৭ জুন) সকালে গরম তেলে ঝলসে দেওয়া হয়েছে দিদারের শরীর। লক্ষ্মীপুরের কলেজ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দিদার উপজেলার চররুহিতা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রী।
দিদারের পরিবারের অভিযোগ, জহুরা তার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে দিদারের গায়ে গরম তেল ঢেলে দেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।
দিদারের বড় ভাই আকবর হোসেন ও বোন রেহানা আক্তার জয়নিউজকে অভিযোগ করেন, ২০০৩ সালে উপজেলার চরমনী মোহন গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে জহুরার সঙ্গে দিদারের বিয়ে হয়। পরে পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৬ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর দুজনই অন্যত্র বিয়ে করেন।
সম্প্রতি (এক বছর আগে) দিদার-জহুরা আবার পরস্পরকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে তারা লক্ষ্মীপুর শহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। ঘটনার দিন পারিবারিক বিরোধের জের ধরে জহুরা ও তার ভাই আলমগীর দিদারের গায়ে গরম তেল ঢেলে দেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জয়নিউজকে বলেন, দিদারের শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান মিয়া জয়নিউজকে বলেন, স্বামীর গায়ে স্ত্রী গরম তেল ঢেলে দিয়েছেন বলে শুনেছি। পুলিশ অভিযুক্তকে খুঁজছে।
জয়নিউজ/বিআর/এমজেএইচ