পা পঁচে গন্ধ ছড়াচ্ছিল। মাছি ছাড়া আর কেউ যাচ্ছিল না তার কাছে। সেই অবস্থায় নগরের ওয়াসা মোড়ে ভিক্ষা করছিলেন আনোয়ার হোসেন। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ছাত্র মো. হায়াত উল্লাহ তার এক বন্ধুর সাহায্যে তাকে নিয়ে গেলেন চট্টগ্রাম মেডিকেলে।
তারপরের পরিস্থিতি আরো করুণ। মেডিকেলে কোনো রকম কষ্টে তার চিকিৎসা চলছে। তবে ডাক্তার বলেছেন পায়ে এতটাই পচন ধরেছে যে কেটে ফেলা ছাড়া ভিন্ন অন্য কোনো উপায় নেই। এতদিন তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করছেন হায়াত নামের এমবিএর এক ছাত্র। কিন্তু এখন আর তা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
আর পঁচে যাওয়া অংশের পা কাটার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কথা বলতে চান আনোয়ারের পরিবারের সঙ্গে। কিন্তু বিধিবাম! সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামে আসা আনোয়ার মানিব্যাগ হারিয়ে যেতে পারছেন না বাড়ি। যোগাযোগের জন্য যে নাম্বার দিয়েছেন তাতেও মিলছে না কোনো সাড়া।
জানা যায়, আনোয়ার সন্দ্বীপের রহমতপুর গ্রামের আলী আহম্মদ চেরাগ্নি বাড়ির আব্দুল মোতালেবের ছেলে। বর্তমানে সে চমেকের পঞ্চমতলায় ২৫নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।