সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে ৫১ বল হাতে রেখে টাইগাররা জিতেছে ৭ উইকেটে। এই জয়ে সাকিবের সঙ্গে লিটন দাসের অসাধারণ ইনিংসটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে অনেক দিন।
এই জয়ে বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে উঠে এল টাইগাররা। ম্যাচসেরা সাকিব বল হাতে নেন দুই উইকেট আর ব্যাট হাতে অপরাজিত ছিলেন ১২৪ রানে। ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত লিটন দাস চার মেরে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে।
শুরুটা করেছিলেন তামিম-সৌম্য। উদ্বোধনী জুটিতে ৮ ওভারে এসেছিল ৫২ রান। ২৯ রানে সৌম্য ফিরে গেলে ভাঙে সে জুটি। এরপর তামিম ফেরেন ৪৮ রানে। ক্রিজে এসেই মাত্র ১ রান করে ফিরে যান মুশফিকুর রহিম। এরপর আর পিছন ফিরে তাঁকাতে হয়নি বাংলাদেশ দলকে। ১৮৯ রানের রেকর্ড চতুর্থ উইকেট জুটিতে ম্যাচ শেষ করে ফিরেন সাকিব-লিটন।
সোমবার (১৭ জুন) টন্টনে বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ৩২১ রান।
মাশরাফি-সাইফুদ্দিনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টাইগারদের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন গেইল।
ঝড় তোলার আগেই ক্রিস গেইলকে ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এভিন লুইস ৭০ ও নিকোলাস পুরান ২৫ রান করেন। দলীয় ১৫৯ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠেন শেমরন হেটমায়ার।
২৬ বলে চারটি চার আর তিনটি ছক্কায় করেন ৫০ রান। মুস্তাফিজের করা ৪০তম ওভারে তামিমের দারুণ ক্যাচে বিদায় নেন তিনি। একই ওভারে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হন আন্দ্রে রাসেল। ফিজের জোড়া আঘাতে দলীয় ২৪৩ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পঞ্চম উইকেট হারায়।
দলীয় ২৮২ রানের মাথায় বিদায় নেন দলপতি জেসন হোল্ডার। সাইফুদ্দিনের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়ার আগে ক্যারিবীয়ান দলপতি করেন ১৫ বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কায় ৩৩ রান।
দলীয় ২৯৭ রানের মাথায় বিদায় নেন শাই হোপ। বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা শাই হোপ ইনিংসের ৪৭তম ওভারে আউট হন। মুস্তাফিজের বলে লিটন দাসের তালুবন্দি হওয়ার আগে শাই হোপ ১২১ বলে চারটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৯৬ রান।
ইনিংসের শেষ বলে সাইফ বোল্ড করেন ১৫ বলে ১৯ রান করা ড্যারেন ব্রাভোকে। ৬ রানে অপরাজিত থাকেন ওশানে থমাস।
মোস্তাফিজ ৯ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে পান তিন উইকেট। সাকিব ৮ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে পান দুই উইকেট। সাইফুদ্দিন ১০ ওভারে ৭২ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন। মাশরাফি ৮ ওভারে ৩৭ রান, মিরাজ ৯ ওভারে ৫৭ রান ও মোসাদ্দেক ৬ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।