চলতি বিশ্বকাপের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বোলিং অ্যাটাক দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু কাঁধের চোটের কারণে কোনো ম্যাচ না খেলেই দেশে ফিরেতে হয়েছে স্টেইনকে। দ্বিতীয় ম্যাচেই ইনজুরিতে পড়েন পেসার লুঙ্গি এনগিদি। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ইংল্যান্ডে পা রাখলেও এখন তাদের টুর্নামেন্টে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
আজ বুধবার (১৯ জুন) বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিকে চার ম্যাচ খেলে ৩ জয়, আর ১ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় ৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে আছে কিউইরা। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে আছে তারা। আর দলের ক্রিকেটাররাও আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। এক বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে তাদের কিছু ঘাটতি দেখা দিলেও, বাকি সব ম্যাচে ব্যাট হাতে সফল ব্ল্যাকক্যাপসরা।
ট্রেন্ট বোল্ট, জিমি নিশাম, ম্যাট হেনরি, লোকি ফারগুসনরাও বল হাতে ঝরাচ্ছেন আগুন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাই পরিষ্কার ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবে গত বিশ্বকাপের রানার্স-আপ নিউজিল্যান্ড।
কিন্তু ম্যাচটি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য প্রতিশোধের বিধায় এত সহজেই ছাড় পেতে যাচ্ছে না কেন উইলিয়ামসনের দল। প্রতিশোধ এই কারণে, গত দুটি বিশ্বকাপে এই নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১১ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল এবং গত বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারে প্রোটিয়ারা।
মুখে কেউ প্রতিশোধের কথা না বললেও, নিউজিল্যান্ডকে হারানোর যে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা মুখিয়ে আছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর দারুণ ছন্দে থাকা নিউজিল্যান্ডকে ধরাশায়ী করতে চাইলে ডু প্লেসিস, ডি ককরা অনুপ্রেরণা খুঁজতে পারেন নিজেদের থেকেই। সবশেষ ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কাকতালীয়ভাবে ওই ম্যাচটিও অনুষ্ঠিত হয় আজকের ম্যাচ হতে যাওয়া ভেন্যু এজবাস্টনে।
জয়নিউজ/এসআই
