ঘুরে আসুন মেঘের রাজ্যে

বেশিদিনের ছুটি নেই হাতে, কিন্তু আপনার মন চাইছে প্রকৃতিকে খুব ভালোভাবে অনুভব করা যাবে এমন কোথাও যেতে। তাহলে দেরি না করেই রওনা দিন পাহাড়, ঝর্ণা আর মেঘের দেশ মেঘালয়ে! বাংলাদেশ থেকে খুব বেশি দূরে নয় ভারতের মেঘালয় রাজ্য। সিলেট থেকে ৫৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তামাবিল-ডাউকি বর্ডার দিয়ে প্রবেশ করতে হয় মেঘালয়।

- Advertisement -

ঘুরে আসুন মেঘের রাজ্যে

- Advertisement -google news follower

যেভাবে যাবেন

ভারতের ভিসা পাওয়া এখন খুবই সহজ, শুধু মনে রাখতে হবে ভিসাতে যেন পোর্ট বাই রোড ডাউকি সিলেক্ট করা থাকে। নতুন নিয়ম হিসেবে আপনার পাসপোর্টে ডাউকি পোর্ট থাকলেও তা দিয়ে বাই রোড হরিদাসপুর-বাই রেল গেদে দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।

- Advertisement -islamibank

সকাল ৯ টায় বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনের কাজ শুরু হয়, ইমিগ্রেশন এ যাওয়ার আগে অবশ্যই ব্যাংকে ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স দিয়ে যাবেন। না দিয়ে গেলে বর্ডার এ আপনার কাছ থেকে ৮০০-১০০০ টাকা নিবে।
তামাবিল পৌঁছে সবার আগে চলে যাবেন পুলিশ স্টেশনে। এখানেই সবার প্রথমে পাসপোর্ট জমা নিবে। একা পাসপোর্ট জমা দিলে টাকা না দিয়ে বেচেঁ যেতে পারেন, তবে একসাথে অনেকজন মিলে পাসপোর্ট জমা দিলে প্রতি পাসপোর্টে ৫০-১০০ টাকা করে রেখে দিবে! তারপর আপনার কাজ হলো কাস্টমস অফিসে যাওয়া। সেখানেই মূলত ব্যাগ খুলে দেখে, তবে বেশিরভাগ সময়ই তা করেনা শুধু মাত্র একটা সাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়। তারপর বাংলাদেশ প্রান্তের শেষে বিজিবির খাতায় একটি সাক্ষর দিবেন, এভাবেই বাংলাদেশ পর্ব শেষ হয়।

নো ম্যান্স ল্যান্ড এর করিডর পার করে প্রবেশ এর শুরুতেই বিএসএফ আপনার পাসপোর্ট এর সাথে আপনার চেহারা টা একটু মিলিয়ে দেখে ছেড়ে দিবে। তারপর বামের রাস্তা ধরে ২ মিনিট হাটলেই বাম পাশে ইমিগ্রেশন অফিস। সেখানে গিয়ে পাসপোর্ট জমা দিবেন, অফিসার তা এন্ট্রি করে আপনার একটি স্বাক্ষর নিবে এবং এন্ট্রি সিল লাগিয়ে দিবে আপনার ভিসায়। অফিসিয়ালি ভারতে আপনার প্রবেশ হয়ে গেছে।
ডলার বিড়ম্বনা এড়াতে:

ডাউকি তে আপনি কোনোমতেই ডলার ভাঙতে পারবেন না, তার জন্যে আপনাকে অবশ্যই শিলং এ যেতে হবে। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, শিলং এ আপনি পাসপোর্ট নিয়ে গেলে এক্সচেঞ্জ করে দিবে তবে সময় লাগবে ১ ঘন্টার মত। এছাড়াও পুলিশ বাজার কেএফসি ভবন এর নিচ তলায় পাবেন এক্সচেইঞ্জ।
পথে যা যা দেখবেন, মাওলিনং, নাওহেত লিভিং রুট ব্রিজ ও বড় হিল ঝর্না।

ঘুরে আসুন মেঘের রাজ্যে

ডাউকি থেকে চেরাপুঞ্জি
চেরাপুঞ্জিতে ঘুরতে ঘুরতে দেখুন থাংকারাং পার্ক, সেভেন সিস্টার ফলস টপ, সেভেন সিস্টার ফলস ভিউ, নোহকালিকাই ফলস, লাইপাতেং ফলস, মওসমাই কেভ, তৃর্না, উমশিয়াং ডাবল ডেকার লিভিং রুট ব্রীজ ইত্যাদি। বারাপানি লেক (উমিয়াম), ডন ভস্কো মিউজিয়াম, ক্যাথেড্রাল চার্চ, ওয়ার্ডস লেক, এলিফেন্ট ফলস, শিলং পিক, লেডী হায়দারী পার্ক।

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM