অবশেষে চলতি বিশ্বকাপে তামিম তার প্রথম ফিফটির দেখা পেয়েছেন। ৬৫ বলে ৫ বাউন্ডারিতে সাজানো এই ফিফটির পর বেশিদূর আর এগোতে পারেননি তিনি। মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৬৭ রান করেন তামিম।
এদিকে শুরুতে সৌম্য সরকারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে তারা গড়েন ৭৯ রানের জুটি।
শেষপর্যন্ত এই জুটিটি ভেঙেছেন মার্কাস স্টয়নিস। মিডঅফে তুলে মারতে গিয়ে ওয়ার্নারকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাকিব। ৪১ বলে ৪ বাউন্ডারিতে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার করেন ৪১ রান।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ১৪৯ রান। মুশফিক ২৬ ও লিটন ২ রানে ব্যাট করছেন।
এর আগে ডেভিড ওয়ার্নারের ১৬৬ ও উসমান খাজার ৮৯ রানে ভর করে নটিংহ্যামে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮১ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিশ্বকাপের ২৬তম ম্যাচে ট্রেন্ট ব্রিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস হেরে আগে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। এ দিন দলে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে টাইগাররা। চোটের কারণে সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক হোসেনের জায়গায় দলে ঢুকেছেন পেসার রুবেল হোসেন ও ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করে অজিরা। দুই ওপেনার ওয়ার্নার-ফিঞ্চ মিলে গড়ে ১২১ রানের উদ্বোধনী জুটি। এর পর ২১তম ওভারে বোলিংয়ে এসে সৌম্যের অফ স্টাম্পের বাইরে বাড়তি লাফানো বলে চমকে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ দেন ফিঞ্চ। ৫১ বলে ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ। পরে তাঁর শিকার হয়ে ফিরেছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাজা। ১৬৬ রান ওয়ার্নার ও ৮৯ রান করেছেন খাজা।
ওয়ার্নার এই বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ১৪৭ বলের ইনিংসটায় আছে ১৪টি চার, ৫ ছক্কা। অথচ পঞ্চম ওভারেই ওয়ার্নারকে ফিরতে হতো। মাশরাফির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ ফেলেছেন সাব্বির। ওয়ার্নারের রান তখন ছিল ১০।
১ উইকেটে ৩১৩ রান তোলার পরও অস্ট্রেলিয়া যে শেষে সাইক্লোন ওঠাতে পারেনি, তাতে সৌম্যের ভূমিকা আছে। স্লগ ওভারে টানা ফিরিয়েছেন ওয়ার্নার আর খাজাকে। এর মধ্যে খাজা ফেরার ওভারেই রান আউটের শিকার হয়েছেন নেমেই হাত খুলে মারতে থাকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১০ বলে ৩২।
শেষদিকে ৪৯তম ওভারে নটিংহ্যামে আসে বৃষ্টি। তবে কিছুক্ষণ পর ঠিকই আবার মাঠে গড়ায় খেলা। ৫০তম ওভারে মুস্তাফিজ এসে ১৩ রান দিলে অজিদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৩৮১ রান। স্টোনিস ১৭ ও অ্যালেক্স ক্যারি ১১ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের পক্ষে ৩টি উইকেট নেন সৌম্য সরকার। এছাড়া রুবেল নেন ১টি উইকেট।