ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের টয়লেটে এক কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মমিনুল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আটক মমিনুলের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে। সে একজন নির্মাণ শ্রমিক। আর ওই কিশোরীর বাড়ি সিরাজগঞ্জে। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরী নানি ও খালার সঙ্গে রাজশাহীতে নানার বাড়ি আসছিল।
জানা যায়, রাজশাহী আসার জন্য সিরাজগঞ্জের মনসুর আলী স্টেশনে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠে তারা। পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস পার হওয়ার পর ওই কিশোরী ট্রেনের টয়লেটে যায়। তখন টয়লেটের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিল অভিযুক্ত মমিনুল। ওই কিশোরী টয়লেট থেকে বের হওয়ার জন্য দরজা খুললেই সে ভেতরে ঢুকে পড়ে। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী স্টেশনে আসা পর্যন্ত প্রায় ৪০ মিনিট সে ওই কিশোরীকে টয়লেটে আটকে রেখে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
পুলিশ জানায়, ট্রেনের শব্দের কারণে ওই কিশোরীর চিৎকার শোনা যায়নি। তবে যাত্রীরা লক্ষ্য করে অনেকক্ষণ ধরেই টয়লেটের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। তারা দরজায় ধাক্কা দিয়ে খুলতে বলে। কিন্তু দরজা খোলা হচ্ছিল না। একপর্যায়ে তারা ওই কিশোরীর চিৎকার শুনতে পায়। এরপরই দায়িত্বরত পুলিশকে ডাকা হয়। পুলিশ এসে টয়লেটের দরজা খুলতে বাধ্য করে।
এ সময় কাঁদতে কাঁদতে ওই কিশোরী বেরিয়ে আসে। তখন ট্রেনের যাত্রীরা মমিনুলকে মারধর শুরু করে। যাত্রীদের হাত থেকে উদ্ধার করে মমিনুলকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
রাজশাহী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ ইকবাল জানান, নির্মাণশ্রমিক মমিনুল ঢাকা থেকে বাড়ি আসছিলেন। ওই কিশোরীর ভাষ্য অনুযায়ী, ট্রেনের টয়লেটের ভেতর মমিনুল দীর্ঘসময় ধরে ওই কিশোরীর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
ওসি বলেন, ঘটনাস্থল রেলওয়ের ঈশ্বরদী থানার অধীনে। তাই রাত ১২টার ঢাকাগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেসে অভিযুক্ত যুবককে ঈশ্বরদী থানায় পাঠানো হয়েছে। ওই কিশোরীকে নিয়ে তার নানি এবং খালাও গেছে। ঈশ্বরদী থানায় তারা মমিনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করবেন।
জয়নিউজ/আরসি