চবি করসেপন্ডেন্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করে।
এছাড়াও মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতারা।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতির সভাপতি প্রফেসর ড. রাশেদ-উন-নবী ও সাধারণ সম্পাদক মো. মশিবুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, দর্শন বিভাগের প্রফেসর ড. এফ এম এনায়েত হোসেন, শারিরীক শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের কোষাধ্যক্ষ রাকিবুল মাওলা, সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুর রহমান বাবু, কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য শুক্কুর মিয়া, দেলোয়ার হোসেনসহ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে কটূক্তিপূর্ণ কথাবার্তা এটি মূলত বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলার একটি নীলনকশা। যা বঙ্গবন্ধু পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কখনো বাস্তবায়ন হতে দিবে না। যারা এসব কাজ করছে তারা নিঃসন্দেহে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করছে। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রগতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।
মানববন্ধন শেষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীকে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কটূক্তি এবং পবিত্র কোরআনের সূরা আর রহমান এর একটি আয়াতকে বিকৃতকারীর’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। স্মারকলিপিতে তারা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইননুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ওই শিক্ষককের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। আজকের স্মারকলিপিটি আমি তদন্ত কমিটির নিকট হস্তান্তর করবো। তারা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে রিপোর্ট প্রধান করবে।’
উল্লেখ্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ উঠেছে।
বিপি