সেঞ্চুরি হলো না মুশফিকের
টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হলো না মুশফিকুর রহিমের। দৌলত জাদরানের বলে ফিরলেন সেঞ্চুরি থেকে ১৭ রান দূরে থাকতে।
ডানহাতি পেসারকে ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তবে টাইমিং হয়নি ঠিকমতো। এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ নেন মোহাম্মদ নবী।
৮৭ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় ৮৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি সাজান মুশফিক। তার বিদায়ে মোসাদ্দেক হোসেন ২৬ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ
রান তোলার তাড়ায় আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তার বিদায়ে ভেঙেছে ৫৬ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।
গুলবাদিন নাইবের স্লোয়ার ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়াতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। টাইমিং হয়নি ঠিকমতো, ক্যাচ উঠে যায় মিড উইকেটে।
৩৮ বলে ২ চারে মাহমুদউল্লাহ করেন ২৭ রান।
বাংলাদেশের দুইশ
৪০ ওভার ৫ বলে দলীয় দুইশ রান স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ। ৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২০০ রান। মুশফিকুর রহিম ৬৮ বলে ৬৪ ও মাহমুদউল্লাহ ২৯ বলে ২২ রানে অপরাজিত আছেন। দুজন ৪৯ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন।
ছক্কায় ফিফটি মুশফিকের
দৌলত জাদরানকে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকালেন মুশফিকুর রহিম। এই ছক্কায় পূর্ণ হলো তার ফিফটি, ৫৪ বলে। ৭৩ বল পর এটি বাংলাদেশের প্রথম বাউন্ডারি, আর ইনিংসের প্রথম ছক্কা।
মুশফিক ৫৯ বলে ৫২ ও মাহমুদউল্লাহ ১৪ বলে ৭ রানে অপরাজিত আছেন।
টিকলেন না সৌম্য
ওপেনিং থেকে আজ পাঁচ নম্বরে নেমে টিকলেন না সৌম্য সরকার। মুজিব উর রহমানের পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে আছে বাংলাদেশ।
অফ স্পিনারকে ফ্লিক করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন সৌম্য। বল আঘাত হানে তার প্যাডে। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আঙুল দেন দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের।
১০ বলে সৌম্য করেন ৩ রান। তার বিদায়ে মুশফিকুর রহিম ৪৩ বলে ৩৮ ও মাহমুদউল্লাহ শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
ফিফটির পর আউট সাকিব
আক্রমণে ফিরে সাকিবকে ফিরিয়ে ৬১ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি ভেঙেছেন মুজিব উর রহমান। অফ স্পিনারের রাউন্ড দ্য উইকেটে করা লেংথ বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হন সাকিব। এবার আর রিভিউ নেননি তিনি।
৬৯ বলে একটি চারে সাকিব করেন ৫১ রান। তার বিদায়ের সময় ২৯ ওভার ২ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪৩ রান। মুশফিকুর রহিম ৩২ ও সৌম্য সরকার শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
বাংলাদেশের একশ
সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২১তম ওভারে তিন অঙ্কে গেছে তাদের সংগ্রহ। পঞ্চাশ হয়েছিল দ্বাদশ ওভারে।
দুই ব্যাটসম্যান এক-দুই নিয়ে সচল রেখেছেন রানের চাকা। ২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৩/২। সাকিব ৩৫ ও মুশফিক ৯ রানে ব্যাট করছেন।
ফিরলেন তামিম
মোহাম্মদ নবীর বলে ভুল শটে আউট হলেন তামিম ইকবাল। রাউন্ড দ্য উইকেটে করা নবীর বলটা খেলার দরকার ছিল ফ্রন্টফুটে। তামিম খেলেন ব্যাকফুটে, উড়ে যায় মিডল স্টাম্পের বেলস।
৫৩ বলে ৪ চারে ৩৬ রান করেন তামিম। ভাঙে ৫৯ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। তার বিদায়ে সাকিব আল হাসান ২৬ ও মুশফিকুর রহিম শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
লিটনের বিদায়
খালি চোখে দেখে মনে হচ্ছিল বলটা মাটিতে লেগেছে। কিন্তু থার্ড আম্পায়ার আলিম দার চোখে মাটিতে লাগেনি বলটা। কয়েকবার রিপ্লেতে টেনে টেনে দেখেও শেষ পর্যন্ত আউটের সিদ্ধান্তই দিলেন তিনি। মুজিব উর রহমানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরলেন লিটন দাস।
অথচ লিটনের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। মূলত ওপেনিং জুটিতে তিনিই ভালো খেলছিলেন। ১৭ বলে ২ বাউন্ডারিতে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান করেন ১৬ রান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। সোমবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায় রোজ বোলে শুরু হয় ম্যাচটি।
ম্যাচের আগে ঘুরেফিরে আসছে আফগানদের মূলশক্তি স্পিন ত্রয়ীর কথা। তবে রশিদ খান, মুজিব-উর রহমান ও মোহাম্মদ নবীদের নিয়ে গড়া প্রতিপক্ষের স্পিন আক্রমণ লাল-সবুজ জার্সিধারীদের বুকে খুব বেশি কাঁপন ধরাতে পারছে না।
অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে ম্যাচ হারের পর প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গেছে আফগানিস্তানের। তবে শেষটা অবশ্যই ভালো করতে চাইবে আফগানরা।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক) ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ: গুলবাদীন নাঈব (অধিনায়ক), সামিউল্লাহ শিনওয়ারী, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহিদী, আসগর আফগান, মোহাম্মদ নবী, নাজিবুল্লাহ জাদরান, ইকরাম আলী খিল (উইকেটরক্ষক), রশিদ খান, দাওলাত জাদরান ও মুজিব উর রহমান।