‘কুয়েতে অবস্থানরত আমার ছেলের সঙ্গে সুমনের সম্পর্ক অনেকদিনের। সেই সুবাদে সুমন নিয়মিত আমার বাসায় আসত। বিভিন্ন সময় সে আমার ছেলের বউকে বাজার করে দিত।
সোমবার সুমন বাজার দেওয়ার নাম করে ফুসলিয়ে আমার ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে বাড়ির কিছু দূরে নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। পরে তাকে মুখে কাপড় গুঁজে ধর্ষণ করে সে পালিয়ে যায়। বর্তমানে আমার মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
সোমবার (২৪ জুন) দিবাগত রাতে হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নের কালা বাদশা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ধর্ষিতার পিতা জয়নিউজকে এসব কথা জানান।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত একই ইউনিয়নের শফি মাস্টার বাড়ির শফি মাস্টারের ছেলে সুমন (৩২)। ধর্ষক সুমনের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জয়নিউজকে জানান ধর্ষিতার বাবা।
ধর্ষণের পর অনেক কষ্টে সে (ছাত্রী) রক্তাক্ত অবস্থায় তার বাড়িতে ফিরে এসে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানান। পরে তাকে পরিবারের লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ধর্ষিতাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বর্তমানে ধর্ষিতা তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন, সে এখনও আশঙ্কামুক্ত নন বলে চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বিষয়টি স্বীকার করে জয়নিউজকে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। ধর্ষক সুমনকে তার বাড়ির পেছন থেকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। সুমন বিভিন্ন সময়ে নাশকতা ও ভাঙচুর মামলার জেলখাটা আসামি। কয়েক মাস আগে সে জেল থেকে বের হয়েছে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।