রণদা প্রসাদ হত্যা মামলায় মাহবুবুরের মৃত্যুদণ্ড

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা রণদা প্রসাদ সাহা ও তাঁর ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে অপহরণ ও হত্যা করা হয়। এ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের আসামি মাহবুবুর রহমানকে (৬৯) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বর্তমানে আসামি কারাগারে আছেন।

- Advertisement -

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।

- Advertisement -google news follower

এসময় ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, মোখলেছুর রহমান বাদল ও রানা দাশগুপ্ত। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।

প্রসিকিউশন সূত্রে জানা যায়, একটি ফৌজদারি মামলায় ৬৯ বছর বয়সী মাহবুবুর রহমানকে গতবছর গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই বছরের ৯ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের অধীনে মাহবুবকে কারাগারে পাঠানো হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাহবুবের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বইরাতিয়া পাড়ায়।

- Advertisement -islamibank

তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুসারে, ১৯৭১ সালের ৭ মে আসামি মাহবুবুর রহমান ও অন্যদের সহায়তায় পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যরা রণদা প্রসাদ সাহা ও তাঁর ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে নারায়ণগঞ্জের খানপুর এলাকার সিরাজউদ্দৌলা রোডের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাঁদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আসামি মাহবুবুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাহাপাড়া এলাকার ৩৩ জন হিন্দুকে ধরে নিয়ে হত্যা এবং মির্জাপুর থেকে ২৪ জনকে অপহরণের পর ২২ জনকে মধুপুরে নিয়ে হত্যা করেন তিনি।

তবে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে সমাজসেবক রণদা প্রসাদ সাহা হত্যাসহ অপহরণ, অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যার তিনটি অভিযোগ আনা হয়।

জয়নিউজ/আরসি

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM