ননদ-ভাবী হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ডে থেকে সিএনজি অটোরিক্শায় রওনা দেন ইছাপুরের এক আত্মীয়ের বাসার উদ্দেশে। এসময় সিএনজিতে তাদের সহযাত্রী হন দুই যুবক। তাদের মধ্যে একজন নিজেকে‘আউলিয়ার ছেলে’পরিচয় দিয়ে কথা বলতে শুরু করেন ওই দুই মহিলার সঙ্গে। কথার একপর্যায়ে মহিলাদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণের কানের দুল, রূপার চেইন ও নগদ টাকা তার হাতে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
ননদ সুফিয়া এসব দিতে অস্বীকৃতি জানালেও পরে ভাবী করফুলের অনুরোধ ফেরাতে পারেনি। পরে তারা উভয়ে তাদের কাছে রক্ষিত স্বর্ণের চেইন, কানের দুলসহ নগদ ৪ হাজার টাকা কথিত আউলিয়ার ছেলের হাতে তুলে দেয়। এসময় কথিত আউলিয়ার ছেলে জিনিসপত্রগুলো পেপার মুড়িয়ে আবার ভাবী-ননদের হাতে দেন এবং এশার নামাজের পর পেপার খুলতে অনুরোধ করেন।
সিএনজি অটোরিক্শাটি কড়িয়ার দিঘিরপাড় এলাকায় পৌঁছলে কথিত আউলিয়ার ছেলে মাদ্রাসার সামনে জরুরি কাজে যেতে হবে চালককে জানান। পরে কৌশলে ননদ-ভাবীকে নামিয়ে অটোরিকশাটি নিয়ে চলে যান। প্রায় আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরও সিএনজিচালক না আসায় তাদের সন্দেহ হয়। পরে ননদ-ভাবী পেপার মুড়ানো কাগজ খুলে সেখানে কিছু না পেয়ে হতভম্ব হয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতারণার শিকার ননদ-ভাবী হলেন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার মৃত আব্দুল আজিজের স্ত্রী করফুল (৫০) ও হাবিল মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া (৩৫)। ।
প্রতারণার শিকার ননদ-ভাবী জানান, আমাদের এক আউলিয়ার ছেলে পরিচয় দিয়ে সঙ্গে থাকা সব জিনিস ও টাকাপয়সা নিয়ে চলে যায়। পরে বুঝতে পারি প্রতারণার শিকার হয়েছি।
হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর জয়নিউজকে বলেন, আমাদের মা-বোনদের আরো সর্তক হওয়া উচিত। বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রতারকদের অবস্থান রয়েছে। এসব এলাকা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।
জয়নিউজ/পিডি/বিআর