হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে আসেন রোগীরা। চিকিৎসক রোগীর রোগ নির্ণয় করে ওষুধ দেন। কিন্তু ভারতের রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের একটি হাসপাতালে ঘটছে ব্যতিক্রমী ঘটনা। সেখানে চিকিৎসক বসে থাকেন আর রোগীর কোষ্ঠী বিচার করে রোগ নির্ণয় করেন জ্যোতিষী।
জয়পুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে রোগীরা নিজেদের কোষ্ঠী নিয়ে আসছেন। প্রথমে জ্যোতিষীরা সেই কোষ্ঠী বিচার করে রোগ নির্ণয় করেন। তারপর রোগী যান চিকিৎসকদের কাছে। সেই চিকিৎসা খানিকটা অ্যালোপ্যাথি, খানিকটা আয়ুর্বেদ, ইউনানি, যোগ এর মিশেল। যাকে পরিভাষায় ‘ক্রসপ্যাথি’ বলে এবং চিকিৎসাশাস্ত্রে যা ‘অন্যায়’ হিসেবে ধরা হয়। যাদের কোষ্ঠী নেই, তারা ৫০০ টাকার বিনিময়ে কোষ্ঠী তৈরি করে নেন।
এ রকম রোগ নির্ণয় পদ্ধতি ঘিরে নিন্দা ও সমালোচনার পরও কোনো প্রশাসনিক তৎপরতা নেওয়া হয়নি। উল্টো রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখপাত্র গোবিন্দ জি পারিখ বলেন, ‘আমরা অনুমতি দিইনি। রাজ্যের সাবেক বিজেপি সরকার দিয়েছিল। তাছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল যা খুশি করতে পারে। আমরা ওদের কি করে নিয়ন্ত্রণ করব!’
জয়নিউজ/আরসি