কক্সবাজারের পেকুয়ায় টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে অন্তত ২০টি বসতঘর। এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০টি ঘর এবং বাকিগুলো মাঝারি ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে এসব পরিবারের শতাধিক সদস্য খোলা আকাশের নিচে সময় পার করছেন বলে জানা যায়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ফেরাসিঙ্গা পাড়ায় ২০টির মতো বসতঘর তীব্র বাতাসের তোড়ে (টর্ণেডো) উপড়ে গেছে।
বসতবাড়ি উপড়ে গিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৯টি পরিবারের তালিকা পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরের মালিকেরা হলেন- মো. কালুর ছেলে আবুল হাশেম ও আবুল হোসেন, মৃত উকিল আহমদের ছেলে জাফর আলম ও নুরুল আলম, মৃত লালমিয়ার ছেলে জালাল মিয়া, আজল আহমদের ছেলে আবদু শুক্কুর, উকিল আহমদের ছেলে শহিদুল ইসলাম, মো. তফিউল হকের ছেলে ওবাইদুল হক, গোলাম রাব্বানের ছেলে শরিয়ত উল্লাহ।
উজানটিয়ার বাসিন্দা অ্যাড. মীর মোশারফ হোছাইন টিটু জয়নিউজকে বলেন, একদিকে বানের পানিতে চরম দুর্ভোগে মানুষ। তার উপর টর্ণেডোর তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে খোলা আকাশের নিচে। পরিবারগুলোকে যাতে সহায়তা দেওয়া হয় সে জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান তিনি।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুব-উল করিম বলেন, বানের পানিতে উজানটিয়া, টৈটং, পেকুয়া, মগনামাসহ আরো কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েকহাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অপরদিকে টর্ণেডোর আঘাতে উজানটিয়ার ফেরাসিঙ্গা পাড়ার ২০টি বসতঘর উপড়ে গেছে। তাই জেলা প্রশাসনের কাছে ঢেউ টিনসহ প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ জাফর আলম বলেন, পেকুয়ায় টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো যাতে দ্রুত মাথা গোঁজার ঠাই পায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।