বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দর। বাজারে সবজি ও সামুদ্রিক মাছের দাম বাড়ায় তা নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) কাজীর দেউড়ি, দেওয়ান বাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৪০ টাকায়, বাঁধাকপি (ছোট) ৫০ টাকায়, ফুলকপি ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৪৫ টাকায়, লাউ ৬০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৪৫ টাকায়, করলা ৪৫ টাকায়, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকায়, শসা ৫০ টাকায়, টমেটো ৪০ টাকায়, পটল ৪৫ টাকায়, পেঁপে ৪৫ টাকায়, বরবটি ৬৫ টাকায়, কচু ৩৫ টাকায়, কাঁকরোল ৪৫ টাকায়, গাজর ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাজীর দেউড়ি বাজারে আসা ক্রেতা শামস উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, বাজারে সবজির অভাব নেই। তারপরও দাম কমছে না। সামুদ্রিক মাছের দাম তো নাগালের বাইরে।
সবজি বিক্রেতারা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি আসছে না। এ কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ নেই। এই সংকটের কারণে বাড়তি দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে মাছধরা বন্ধ থাকায় বাজারে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। লইট্যা, রূপচাঁদা, কোরাল, ইলিশ, পোপামাছসহ সামুদ্রিক মাছের প্রায় দেখাই মিলছে না বাজারে। ফলে পুকুরের মাছের দাম এখন আকাশছোঁয়া।
বাজারগুলোতে প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ ১৮০ টাকায়, পাঙাশ মাছ ২০০ টাকায়, রুইমাছ ৩১০ টাকায়, পাবদা মাছ ৬২০ টাকায়, চিতল মাছ ৫৩০ টাকায়, রূপচাঁদা মাছ ১৪০০ টাকায় ও কাতলা মাছ ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ২০০ টাকায়, দেশি মুরগি ৩৬০ টাকায় ও কক মুরগি ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস কেজিতে ৫৩০ থেকে ৫৫০ টাকায় এবং খাসির মাংস ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জয়নিউজ/আরসি