অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা ডেকে আনতে পারে হার্টের অসুখ। তবে হার্ট অ্যাটাকের জন্য আমাদের জীবনযাত্রাই শুধু দায়ী এমনটা নয়। দীর্ঘদিনের কোনো অসুখ বা শারীরিক সমস্যার কারণেও হার্টে অসুখ হতে পারে।
স্থুলতা, ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে হার্টে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সমস্যা একদিনেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে না। আস্তে আস্তে হতে থাকে। আর তা আমাদের শরীর নানাভাবে জানান দেয়। যদিও তা আমরা বুঝতে পারি না। এই লক্ষণগুলো দেখলে এখনই সতর্ক হোন-
অতিরিক্ত ঘাম : কারণ ছাড়াই অনেকে অতিরিক্ত ঘামেন। তা দিনের যেকোনো সময় হতে পারে। এটা কিন্তু হার্ট অ্যার্টাকের পূর্ব লক্ষণ। মহিলাদের মেনোপজ হয়ে যাওয়ার পর এই ধরনের লক্ষণ বেশি দেখা যায়। অল্পেই তারা বেশি ঘেমে যান।
বুকে ব্যথা : বুকে ব্যথা হলেই যে তা হার্টের সমস্যা, এমন নয়। আরও অনেক কারণেই বুকে ব্যথা হতে পারে। গ্যাস্ট্রিক কিংবা থেকে রক্তচাপের প্রভাবেও হতে পারে। তবে বুকে ব্যথা হলে অবহেলা করবেন না। চিনচিনে ব্যথা হলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। যেকোনো রকম ব্যথাকেই গুরুত্ব সহকারে দেখুন।
অনিয়ন্ত্রিত হার্টবিট : নার্ভের সমস্যা থাকলে হার্টবিট বেশি হয়। এছাড়াও মহিলাদের মধ্যে বিশেষত প্যানিক করার অভ্যেস থাকলে তাদের হার্টবিট বেশি হয়। অতিরিক্ত চিন্তা, প্যানিকগ্রস্ততা হার্ট অ্যার্টাকের অন্যতম লক্ষণ।
শ্বাসে সমস্যা : রক্তচাপ বৃদ্ধি, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি নানা কারণে অ্যাজমা হতে পারে। তবে যদি এই সমস্যা ৬ মাসের বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই হার্টের ডাক্তার দেখান।
চুল পড়া : নানা কারণেই চুল পড়তে পারে। কিন্তু যে সমস্ত পুরুষের বয়স ৫০ এর উপর এবং যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে তাদের অতিরিক্ত চুল পড়া কিন্তু হার্ট অ্যার্টাকের পূর্লক্ষণ। কোলেস্টেরল থেকেই চোখে কম দেখার মতো সমস্যা আসে।
ঘুম কম হওয়া : ঘুম না হওয়া বা ইনসমনিয়া যেমন অন্যান্য রোগের উপসর্গ তেমনই হার্টের সমস্যাও ডেকে আনে। তাই ঘুমের সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান।
জয়নিউজ/পিডি