টানা কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে জলমগ্ন ছিল নগরী। কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পানিতে ডুবে ছিল নগরের বেশিরভাগ সড়ক। এসময় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। জীবনযাত্রায় নেমে আসে স্থবিরতা।
তবে সোমবার (১৫ জুলাই) মেঘ ভেঙে আকাশে উঁকি দেয় সূয্যিমামা। আকাশে রোদ উঠলেও কমেনি নগরবাসীর দুর্ভোগ। বৃষ্টির কারণে ভেঙে যাওয়া সড়কে যান চলাচলে চালকদের পোহাতে হয়েছে দুর্ভোগ। যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। দিনভর যানজটের ফলে অফিসগামী মানুষজন ও শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রবল বর্ষণে সড়কে পানি জমে থাকায় নগরের ষোলশহর, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, মৌলভীপুকুরপাড়, বাহির সিগন্যাল, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, কাস্টমস মোড়, নিমতলা বিশ্বরোড, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, হালিশহর, নয়াবাজার ইত্যাদি সড়কে বৃষ্টির পানিতে বড়-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজট, দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।
হালিশহর নয়াবাজার এলাকায় ট্রাকচালক মো. সোলায়মান জয়নিউজকে বলেন, বৃষ্টির কারণে এতদিন এ সড়কে চলাচল করতে পারিনি। বৃষ্টির পর সড়কে দেখি বড়-বড় গর্ত। কখন যে ট্রাক উল্টে যায় সে ভয়েই আছি।
আগ্রাবাদ এক্সেস রোড দিয়ে যাতায়াতকারী সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী মোশাররফ হোসেন জয়নিউজকে বলেন, রাস্তার অবস্থাতো আগে থেকেই খারাপ ছিল। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আরো খারাপ হয়েছে। এগুলো ভালো হওয়ার আশাও আর করি না।
এদিকে খানাখন্দের কারণে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করতে না পারায় নগরের বিভিন্ন সড়কে ছিল অসহনীয় যানজট। যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হয়েছে সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের।
হালিশহর নয়াবাজার মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল মো. ইয়াকুব জয়নিউজকে বলেন, বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এছাড়া রাস্তা ভালো না থাকায় যান চলাচলও কিছুটা ধীরগতির। তবে আমরা চেষ্টা করছি, যাতে যানচলাচল স্বাভাবিক থাকে।